জুমবাংলা ডেস্ক : শঙ্কা নিয়েই পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে। দেশটির স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে এবং তা বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে।
নির্বাচন সামনে রেখে গতকাল বুধবার বেলুচিস্তান প্রদেশে ভয়াবহ বিস্ফোরণে প্রায় ৩০ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিতের অঙ্গীকার করেছে।
পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুসারে, এবারের নির্বাচনের জন্য ১২ কোটি ৮০ লাখের বেশি নিবন্ধিত ভোটার আছেন। ২৬৬ আসনে মোট ৫ হাজার ১২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
৯০ হাজার ৬৭৫টি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলছে। এর মধ্যে ৪৬ হাজার ৬৫টি ভোটকেন্দ্রকে স্পর্শকাতর এবং ১৮ হাজার ৪৩৭টি ভোটকেন্দ্রকে অত্যন্ত স্পর্শকাতর ঘোষণা করা হয়েছে।
জাতীয় পরিষদের নির্বাচনের পাশাপাশি আজ পাকিস্তানের চারটি প্রাদেশিক পরিষদেও নির্বাচন হচ্ছে।
গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজা চার প্রদেশের মুখ্য সচিব এবং পুলিশের মহাপরিদর্শকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখার জন্য তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক অস্থিরতা, ইমরান খানকে সাজা প্রদান, তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতাদের আদালতের বারান্দায় ছোটাছুটি ও দলীয় প্রতীক কেড়ে নেওয়া—এমন নানা বিষয় আলোচনায় রয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো সমান সুযোগ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) পায়নি।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে একসময় ৩৪২টি আসন ছিল। আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০২৩ সালে পরিচালিত জাতীয় আদমশুমারির ফলাফলের ভিত্তিতে কিছু আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হয়। এতে মোট আসনসংখ্যা ৩৪২ থেকে কমে ৩৩৬টি হয়। এর মধ্যে আজ সরাসরি নির্বাচন হচ্ছে ২৬৬টি আসনে। বাকি ৭০টি সংরক্ষিত আসন। এর মধ্যে ৬০টি সংরক্ষিত নারী আসন আর ১০টি সংখ্যালঘু আসন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।