জুমবাংলা ডেস্ক : করোনার ধাক্কায় অতিরিক্ত খরচ সামলাতে না পেরে শতাধিক কর্মী ছাঁটাই করল বেসরকারিখাতের এবি ব্যাংক লিমিটেড। এর আগে আরও চার ব্যাংক কর্মীদের বেতন কমানোর সিদ্ধান্ত নিলেও কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘটনা এটাই প্রথম।
গত বুধবার (৮ জুলাই) ১২১ কর্মীর উদ্দেশ্যে চাকুরিচ্যুতির নির্দেশনা জারি করে এবি ব্যাংক। সূত্র জানায় গত এপ্রিল মাস থেকেই ছাটাই প্রক্রিয়া শুরু করেছে এবি ব্যাংক। কিন্তু এতদিন কেউ মুখ খোলেননি। তিনি আরো জানান, ছাঁটাইকৃত কর্মীদের সংখ্যা যোগ করলে ২০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
নির্দেশনায় বলা হয়, ১২ জুলাই ২০২০ থেকে কিছু কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলা হয়, আপনাদের সকল বকেয়া এবং পাওনা পরিশোধ করা হবে। এবি ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী সকলকে তিন মাসের বেতন প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ভবিষ্যতে ব্যাংক টিকিয়ে রাখার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় ব্যাংক আর অতিরিক্ত খরচ পরিচালনা করতে পারছে না। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নিলে তার জন্য তিনি নিজেই দায়ী থাকবেন।
এ বিষয়ে জানার জন্য একাধিকবার যোগাযোগ করলেও ফোন রিসিভ করেননি এবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আফজাল।
বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি ব্যাংক হিসেবে ১৯৮২ সালে যাত্রা শুরু করে আরব বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর পূর্তির পর ব্যাংকটির নাম বদলে হয়েছে এবি ব্যাংক। দেশে ও দেশের বাইরে সব মিলিয়ে ১০৫টি শাখা রয়েছে এবি ব্যাংকের। রয়েছে ৩০০টির বেশি এটিএম বুথ ও ৫টি সহযোগী কোম্পানি। এর মধ্যে অফশোর ব্যাংকিং সেবার জন্য রয়েছে আলাদা ইউনিট। ব্যাংকের সব ধরনের সেবা পণ্য রয়েছে এবি ব্যাংকের। বয়স, শ্রেণি ও পেশা বিবেচনায় রয়েছে আলাদা আলাদা ব্যাংকিং পণ্য। সরাসরি কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও পিছিয়ে নেই ব্যাংকটি। বর্তমানে এবি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ২ হাজার ২০০।
অভিযোগ রয়েছে, প্রথম সারির এ ব্যাংকটি উদ্যোক্তা পরিচালকদের লুটপাট অনিয়েমে নাজুক এখন অবস্থায়। বিশাল অঙ্কের এই খেলাপি ঋণের প্রধান দায় ব্যাংকটির দুর্নীতিবাজ কয়েকজন উদ্যোক্তার। তারা ব্যাংকটিকে একদিকে নিজেরা বেনামিতে লুটপাট করেছেন,অন্যদিকে যোগসাজশ করে অসাধু কিছু ব্যবসায়ীকে লুটপাটের সুযোগ দিয়েছেন। তারা শুধু ব্যাংক থেকে ঋণের নামে নেওয়া বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতই করেননি, ওই অর্থের প্রায় পুরোটাই বিদেশে পাচার করেছেন।
গত ২৩ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা এক প্রতিবেদন অনুসারে, দেশের সব ব্যাংকের পরিচালকদের মধ্যে এবি ব্যাংকের পরিচালকরা নিজ ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ ঋণ নিয়েছেন। তাদের ঋণের স্থিতি ৯০৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এবি ব্যাংকের অফশোর ইউনিটের মাধ্যমে অর্থ পাচার করা কয়েকজন গ্রাহকও এখন শীর্ষ খেলাপির তালিকায় উঠে এসেছে। তার মধ্যে রয়েছে ব্যবসায়ী এমএনএইচ বুলু। তার খেলাপি ঋণ ২৫০ কোটি টাকা। সূত্র : অর্থ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।