জুমবাংলা ডেস্ক : মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় এক কলেজছাত্রীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর সাবেক স্বামীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
সোমবার মহম্মদপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি করেছেন অগ্নিদগ্ধ কলেজছাত্রী আকলিমা খাতুনের (১৮) দাদা।
তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা অবশ্য দাবি, মেয়েটি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।
অগ্নিদগ্ধ ওই ছাত্রী এখন ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, কেড়িনগর গ্রামের আকরাম মোল্লার মেয়ে আকলিমার সঙ্গে একই গ্রামের মাসুদ মোল্যার ছেলে নাজমুল মোল্যার ২ বছর আগে বিয়ে হয়। প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে হলেও স্বামী-স্ত্রীর বনিবনা হচ্ছিল না। তাই বিয়ের ৭ মাস পর নাজমুলকে তালাক দেন আকলিমা। বিষয়টি নাজমুল মেনে নিতে পারেননি। কিছুদিন পর থেকে নাজমুল তার সাবেক স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন। তার প্রস্তাবে আকলিমা রাজি না হওয়ায় নাজমুল ক্ষিপ্ত হন।
এর জের ধরেই গত শনিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আকলিমা টয়লেটে যাওয়ার সময় ওত পেতে থাকা নাজমুলের লোকজন আকলিমার ব্যবহৃত ওড়না দিয়ে তাকে বেঁধে গায়ে ডিজেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে আকলিমার শরীরে বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়।
এ সময় তার চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নেন। এরপর তাকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারক বিশ্বাস জানান, ওই ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৫জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।