জুলাই বিপ্লবের অন্যতম বীর সেনানী শরীফ ওসমান হাদির রক্তভেজা স্মৃতিকে অম্লান করে রাখতে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় অবস্থিত ‘তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু’র নতুন নামকরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে স্থানীয় ছাত্র-জনতার উদ্যোগে সেতুটির নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ ওসমান হাদি সেতু’ রাখা হয়। একই সাথে প্রকাশ্যে দিবালোকে এই বীর মুক্তিযোদ্ধার উত্তরসূরিকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলে ফেটে পড়ে এলাকাবাসী।
শুক্রবার বিকেলে বন্দর শাহী মসজিদ এলাকা থেকে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ফরাজিকান্দা এলাকায় তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুতে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে উপস্থিত ছাত্র-জনতা এবং স্থানীয় আন্দোলনের নেতারা প্রতীকীভাবে সেতুটির নাম পরিবর্তন করে শহিদ হাদীর নামে উৎসর্গ করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে নেতারা প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন— সোয়াইব রহমান (বন্দর উপজেলা এনসিপি): তিনি বলেন, হাদি ছিলেন দেশের সম্পদ, যার কারণে মানুষ সত্য বলা শিখেছে। অবিলম্বে এই বিপ্লবী বীরের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
রিদওয়ানুল ইসলাম শুভ (এনসিপি নেতা): তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে একজন এমপি প্রার্থীকে গুলি করে হত্যা করা হলো, অথচ আজ পর্যন্ত খুনিরা কেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে? প্রশাসনকে হুঁশিয়ার করে বলছি, দ্রুত বিচার না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।
গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পল্টনে গুলিবিদ্ধ হন ওসমান হাদী। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হলেও ১৮ ডিসেম্বর তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। চব্বিশের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সম্মুখ সারির এই নেতার মৃত্যুতে দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।
সমাবেশে চব্বিশের আন্দোলনের নেতা মো. ফয়সাল, সাবেক ছাত্রশিবির নেতা আল হাসান, এবং আপ বাংলাদেশ-এর নেতৃবৃন্দসহ কয়েক শতাধিক সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



