বিজ্ঞান ও প্রযক্তি ডেস্ক : বিশ্ব প্রযুক্তি বাজারে শাওমির নাম আবারও উচ্চারিত হতে শুরু করেছে। দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার পর, চীনের এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি জায়ান্ট এবার তাদের প্রথম ফ্ল্যাগশিপ প্রসেসর এক্সরিং ০১ চালু করতে যাচ্ছে। এই নতুন চিপ নকশা ডিজাইন এবং উন্নয়নে দুই হাজার পাঁচশত গবেষক ও ইঞ্জিনিয়ারের দীর্ঘ পরিশ্রম এবং এক দশমিক ৩৫ বিলিয়ন মার্ক ডলারের বিস্তারিত বিনিয়োগের ফল। শাওমির এই নতুন পদক্ষেপ স্মার্টফোন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে, যা প্রযুক্তির জগতের এক নতুন অধ্যায় রচনা করবে।
Table of Contents
শাওমি তাদের এক্সরিং ০১ চিপ নিয়ে আসছে যা স্যামসাংয়ের আসন্ন এক্সিনস ২৬০০ চিপের সাথে প্রতিযোগিতা করার উদ্দেশ্যে তৈরি। পরীক্ষা নিরীক্ষার অধীনে, এই চিপটি পারফরম্যান্সের দিক দিয়ে কোয়ালকমের স্ন্যাপড্রাগন ৮ এলাইট চিপের সাথে তুলনীয় হয়ে উঠতে সক্ষম হবে বলে মনে হচ্ছে।
শাওমির এক্সরিং ০১ চিপ: প্রযুক্তির মানচিত্রে একটি নতুন নাম
শাওমির এক্সরিং ০১ চিপটি তৈরি হয়েছে এআরএম আর্কিটেকচারের ভিত্তিতে, এবং এতে ব্যবহৃত হয়েছে টিএসএমসি’র দ্বিতীয় প্রজন্মের ৩ ন্যানোমিটার প্রযুক্তি। চলতি মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচনের পর, এটি স্মার্টফোন নির্মাতাদের পাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আসবে, যারা নিজেদের পণ্য বাজারে ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছে।
কেন এক্সরিং ০১ চিপ বিশেষ?
- অত্যাধুনিক প্রযুক্তি: এই চিপটি তৈরি করা হয়েছে টিএসএমসি’র অত্যন্ত উন্নত ৩ ন্যানোমিটার প্রযুক্তির মাধ্যমে, যা এটি প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এক বৃহৎ পদক্ষেপ হিসেবে তুলে ধরবে।
- বিশ্বস্ততা ও সম্পদ: ১৯ বিলিয়নেরও বেশি ট্রানজিস্টরের ব্যবহার এই চিপকে অতুলনীয় শক্তি প্রদান করে।
- বাজারের প্রতিযোগিতা: গিকবেঞ্চ ৬-এ, এক্সরিং ০১ সিঙ্গেল-কোরে ৩,১১৯ এবং মাল্টিকোরে ৯,৬৭৩ পয়েন্ট অর্জন করেছে, যা স্যামসাংয়ের নতুন এক্সিনস ২৪০০ থেকে বেশি শক্তিশালী প্রতিযোগিতা তুলে ধরছে।
এই চিপের উন্নয়নে দরকারী সম্পদ ও সময়ের ব্যবহার প্রযুক্তির ক্ষেত্রে শাওমির উল্লেখযোগ্য উচ্চাকাঙ্ক্ষা তুলে ধরে।
শাওমির ইতিহাস: প্রথম পদক্ষেপ থেকে উঁচু গন্তব্যে
শাওমির প্রথম ইন-হাউস চিপ ছিল ‘সার্জ এস ১’, যা ২০১৭ সালে ‘মি ৫ সি’ ফোনে ব্যবহৃত হয়েছে। এরপর ২০১৮ সালে ঘোষণা করা সার্জ এস ২-ও আসেনি বাজারে। কিন্তু বর্তমানে শাওমির এক্সরিং ০১ তাদের পরিকল্পনাকে উন্নতির পথে নিয়ে যাওয়ার একটি বড় উদ্যোগ।
এখনকার বাজারে শাওমির এই নতুন প্রচেষ্টা একটি বড় পদক্ষেপ, যা ক্রেতাদের মাঝে নতুন এক আকর্ষণ সৃষ্টি করবে। স্মার্টফোন প্রযুক্তির এই প্রতিযোগিতায় শাওমি বাস্তবিকভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এক্সরিং ০১ নির্মাণের ফলে এটি প্রযুক্তির নতুন সম্ভাবনার দিকে ইশারা করছে, যা ভবিষ্যতের উদ্ভাবনী উদ্যোগগুলোর পথকে আরও প্রসারিত করবে।
প্রযুক্তির সর্বাধিক উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা
বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তির অগ্রগতির এই অল্প সময়ের মধ্যে শাওমির এই উদ্যোগ খুবই প্রয়োজনীয়। স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট নির্মাতারা ক্রমাগত নতুন প্রযুক্তির দিকে নজর রেখে সংস্কারের চেষ্টা করছে। এ ক্ষেত্রে, শাওমির এক্সরিং ০১ চিপ বাজারে আত্মপ্রকাশ করা মানে প্রযুক্তি দুনিয়ায় নতুন প্রতিযোগিতার সূচনা।
শাওমির নতুন চিপ নিয়ে আলোচনা করতে সহায়তা করতে পারেন এখানে।
এদিকে, স্যামসাংয়ের এর পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা চলছে, যেখানে শোনা যাচ্ছে তারা এই বছরে তাদের নতুন ৩ ন্যানোমিটার স্মার্টফোন চিপ এক্সিনস ২৫০০ বাজারে আনবে।
শাওমির এই নতুন উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তি প্রতিযোগিতার বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে, আমরা আশা করতে পারি যে স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতা ও কার্যক্ষমতা আরও উন্নত হবে।
বার্ষিক পণ্য হিসেবে আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি প্রদর্শনী
এটি একটি বড় প্রযুক্তি প্রদর্শনী, যেখানে নতুন পণ্য ও উদ্ভাবন শেয়ার করার সুযোগ থাকে। আগামী বছরগুলোর মধ্যে প্রযুক্তি ক্ষেত্রের এমন আরও অনেক নতুন উদ্ভাবন প্রত্যাশিত।
এরপর শাওমির এক্সরিং ০১ প্রযুক্তির নতুন যুগের সূচনা হতে চলেছে, যা স্মার্টফোন প্রেমীদের জন্য আশা ও আকর্ষণের নতুন পৃথিবী তৈরি করবে।
প্রশ্ন ও উত্তর
১. শাওমির এক্সরিং ০১ চিপটি কোথায় তৈরি হয়েছে?
এক্সরিং ০১ চিপটি তৈরি হয়েছে টিএসএমসি’র ৩ ন্যানোমিটার প্রযুক্তির মাধ্যমে, যা এটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির প্রতীক হিসেবে পরিচিত।
২. এক্সরিং ০১ চিপের সাথে কোন চিপের তুলনা হচ্ছে?
এক্সরিং ০১ চিপটি স্যামসাংয়ের এক্সিনস ২৬০০ এবং কোয়ালকমের স্ন্যাপড্রাগন ৮ এলাইট চিপের সাথে প্রতিযোগিতা করছে।
৩. শাওমির এই চিপের জন্য কত সময় ব্যয় হয়েছে?
শাওমির এক্সরিং ০১ চিপ তৈরিতে প্রায় চার বছর সময় এবং ১ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় হয়েছে।
৪. এক্সরিং ০১ চিপের প্রযুক্তিগত নির্ভরতা কি?
এই চিপটির উন্নয়নে ১৯ বিলিয়নেরও বেশি ট্রানজিস্টর ব্যবহার করা হয়েছে, যা তার কার্যক্ষমতার বিশ্বস্ততা বৃদ্ধিতে সহায়ক।
৫. শাওমির এক্সরিং ০১ চিপটি কখন বাজারে আসবে?
এক্সরিং ০১ চিপটি চলতি মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারে আসবে।
Disclaimer: This article is intended for informational purposes only and should not be construed as professional advice. Content accuracy is checked to the best of our ability but is subject to change. Always verify directly with official sources.
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।