মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি এবং কূটনীতিতে হেনরি কিসিঞ্জার এক সফল ব্যক্তিত্বের নাম। ইতিহাসের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তার এসব সিদ্ধান্ত নতুন ইতিহাস রচনা করার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করেছিল।
হেনরি কিসিঞ্জার বিভিন্ন জায়গায় এমনভাবে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন যে তাকে মূল্যায়ন করা বেশ জটিল ব্যাপার। আরব-ইসরাইল দ্বন্দ্ব কৌশলগতভাবে নিরসনের জন্য তিনি যে নতুন কূটনৈতিক তত্ত্বের প্রয়োগ করেছিলেন সেটি আজ শাটল ডিপ্লোমেসি হিসেবে আন্তর্জাতিক রাজনীতি অধ্যায়নে স্থান পেয়েছে।
এই ব্যক্তি তার জ্ঞান এবং ভাবনাকে পেশাদার জীবনে চমৎকারভাবে প্রয়োগ করতে সক্ষম হয়েছেন। শিক্ষার্থী থাকাকালীন হেনরি কিসিঞ্জার অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন এবং হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রী অর্জন করেছেন।
রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি বেশ খ্যাতি অর্জন করেছেন। ভিয়েতনামের মার্কিন আগ্রাসন বন্ধে ভূমিকার কারণে নোবেল পুরস্কারও জিতেছিলেন তিনি। এবার শাটল ডিপ্লোমেসিকে সহজভাবে ব্যাখ্যা করা যাক।
যখন দুই রাষ্ট্র একে অপরের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে; অবস্থা এতই খারাপ যে কেউ কারো সাথে আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি নয়। তখন শক্তিশালী কোন রাষ্ট্রের প্রতিনিধি যদি দুই পক্ষের মধ্যে বার্তাবাহক হিসেবে দ্বন্দ্ব নিরসনের চেষ্টা করে তাহলে সহজ ভাষায় তাকে শাটল ডিপ্লোমেসি বলা হয়।
এই সিস্টেমে একটি তৃতীয় পক্ষ থাকবে যিনি শান্তি স্থাপনের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। এখানে যিনি প্রতিনিধি থাকবেন তিনি মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দুই পক্ষের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাবেন।
১৯৭৩ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধের সময়ে আমেরিকার সেক্রেটারি অফ স্টেট হেনরি কিসিঞ্জার এ দ্বন্দ্ব নিরসনে আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যান। তিনি এ সংঘাতের এক যৌক্তিক সমাধানের চেষ্টা করেন।
ওই সময়ে কিসিঞ্জারের কূটনৈতিক দক্ষতা সম্পর্কে দুই পক্ষের স্পষ্ট ধারণা ছিল। শাটল ডিপ্লোমেসি সিস্টেমে যিনি সংঘর্ষ নিরসনের চেষ্টা করবেন তাকে নিরপেক্ষ হতে হয়। এ সিস্টেমকে এখনো বেশ কার্যকরী বলে মনে করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।