জুমবাংলা ডেস্ক: শাড়ি পরতে ভালোবাসেন না, এরকম নারীই হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। কারণ, সবাই শাড়ি পরতে খুব ভালোবাসেন। আর তা অস্বীকার করার কোনো জায়গা নেই। হ্যাঁ, শাড়ি পরতে হয়তো তাদের মাঝেমধ্য়ে একটু সমস্যা হয়। ড্রেপিং স্টাইলে সামান্য সমস্যা হলেও হতে পারে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আপনি শাড়ি পরতেই পারবেন না।
প্রকৃত শব্দ ‘শাদি’ শব্দ থেকেই এসেছে এই শাড়ি শব্দটি। যার সঙ্গে আবার রয়েছে সংস্কৃত শব্দের মিশ্রণ। সংস্কৃত শব্দ ‘সাতি’-এর সঙ্গেও এর মিল আছে। যার অর্থ হল একটা কাপড়ের টুকরো। এই শব্দগুলো থেকেই এসেছে ‘শাড়ি’ শব্দটি। আজ এই শব্দটিই আমাদের সবার কাছে খুব পরিচিত। এই শাড়ি আমরা সবাই পরতে ভালোবাসি। তাহলে এখন বুঝতে পারছেন তো, এই শাড়ি কেন এত প্রিয় হয় উঠেছে আমাদের!
শাড়ির কত বছরের পুরনো: শাড়ি অনেক বছরের পুরনো। প্রায় ৫ হাজার বছরের পুরনো এই শাড়ি। তার মানেই বুঝতে পারছেন! খ্রিষ্টপূর্ব ১০০ বছর আগের মূর্তিতেও দেখা গিয়েছে শাড়ির ছোঁয়া। সেই নারী মূর্তির পরনে ছিল শাড়ি। এমনকি পটচিত্রেও নারীদের শাড়ি পরতে দেখা গেছে।
তার মানে বুঝতেই পারছেন, এই শাড়ি এক দুই বছরের পুরনো নয়। বরং এর ইতিহাস এত বছরের পুরনো যে, আপনি ভাবতেও পারছেন না। তাই না? আমাদের তো এটা ভেবেই ভালো লাগছে আর আপনার কেমন লাগছে?
কতভাবে একটা শাড়ি পরা যায়: এই উত্তরটা শুনলে আপনি শুধুই চমকাবেন না, আপনার চোখ কপালেও উঠতে পারে। কারণ, এক বা দুইভাবে নয়, একাধিক ভাবে এই শাড়ি পরতে পারেন। ঠিক কতভাবে জানেন? ১০০বারেরও বেশি ভাবে এই শাড়ি ড্রেপ করে নিতে পারেন আপনি!
যেমন বাঙালি আটপৌরে ড্রেপিং ও মারাঠি ড্রেপিং তো এক নয়। ঠিক সেরকমই ব্যাপার। আবার আধুনিক শাড়ি ড্রেপিংয়ের দিকেও যদি আপনি নজর দেন, তাহলে ব্যাপারটা হবে একদম আলাদা। এখন তো জিন্সের সঙ্গেও শাড়ি ড্রেপিংয়ে উৎসাহ দিচ্ছেন ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সাররা। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে ঠিক কতভাবে এই শাড়ি পরা যায়!
শাড়ি পরতে আপনার কোনও সেফটিপিন লাগবে না: আসলে আপনি যদি শাড়ি পরার সঠিক ধরন জানেন, তাহলে আপনার সেফটিপিনও প্রয়োজন হবে না। আসলে আমরা সেফটি পিন ব্যবহার করি নিজেদের সুবিধার জন্য। আপনি সেফটি পিন ছাড়াও দিব্য শাড়ি পরতে পারেন।
শাড়ি পরার জন্য কোনও ব্লাউজ বা পেটিকোটের প্রয়োজন নেই: এই কথাটি কিন্তু একদম সত্যি। যখন শাড়ি পরা প্রথম শুরু হয়েছিল, তখন কোনো নারীই ব্লাউজ বা পেটিকোট পরতেন না। শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজ ও পেটিকোট পরার চল শুরু হয় পরে। ব্রিটিশ রাজত্বের সময়ে এই শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজ ও পেটিকোট পরা শুরু হয়। এরপর থেকেই শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজ ও পেটিকোট পরা হয়। কিন্তু আপনি যদি বাঙালি সমাজের দিকেও তাকিয়ে দেখেন, তাহলেই বুঝবেন, গত শতাব্দীতেও এই শাড়ি পরার চল ছিল। কিন্তু শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজ বা পেটিকোট পরতেন না কেউ।
সূত্র: এই সময়
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।