জুমবাংলা ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায়। আর সন্ত্রাসী দল বিএনপি চায় নির্বাচনকে বাধাগ্রস্থ করতে। কাজেই নিষেধাজ্ঞা আর ভিসানীতি কার ওপর প্রয়োগ হয় তাই দেখা হবে।’
আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ফ্যাসিবাদ কাকে বলে তার জ্বলন্ত প্রমাণ বিএনপি। তারা ফ্যাসিবাদ করেছে; আর শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে শৃংখলমুক্ত করেছেন। বিএনপি গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, অর্থ পাচার করেছে, গণতন্ত্রকে হত্যা করে ভোট চুরির রাজনীতি শুরু করেছে। বিএনপি গণতন্ত্রের নামের লেবাসধারী ফ্যাসিস্ট। তারাই আন্তর্জাতিক মহলে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত, তাদের বিরুদ্ধেই আমাদের যুদ্ধ।
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বিদেশীদের মাথাব্যথা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা ধমক মারে, হুমকি দেয়, এখন আবার ভিসানীতি প্রয়োগ করেছে। অথচ এমন হুমকি বিএনপির বেলায় নেই। কিন্তু নির্বাচনে বাধা দিচ্ছে বিএনপি। ফলে ভিসানীতিতে তারা পড়ে, আমরা না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গরুর হাট গোলাপবাগে বিএনপির কর্মীরা হতাশায় ছিল। এখন সরকারের পদত্যাগ চাওয়ার আন্দোলনে কর্মীদের ২-৫ হাজার টাকা দিয়ে আন্দোলন করাতে ঢাকায় আনা হচ্ছে।
তত্ত্বাবধায়ক চাইলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে পাকিস্তানে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অনেক জায়গায় ছাত্রলীগের কমিটি নেই। অবিলম্বে কমিটি দিতে হবে। ছাত্রলীগে কারা অনুপ্রবেশকারী তাদের চিহ্নিত করে সংগঠনকে সৃজনশীল সংগঠন হিসেবে বজায় রাখতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।