শাহজালালে আমদানি পণ্য খালাসের কার্যক্রম শুরু করলো কাস্টমস

অগ্নিকাণ্ডে কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার পর ঢাকা কাস্টমস হাউসের এয়ার ফ্রেইট ইউনিটে পুনরায় শুরু হয়েছে আমদানি পণ্য খালাস কার্যক্রম। কমিশনারের অনুমোদনক্রমে রোববার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রম শুরু হয়।

কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, রপ্তানি কার্যক্রম অগ্নিকাণ্ডের আগে ও পরেও ২৪ ঘণ্টা স্বাভাবিকভাবে চললেও আমদানি কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল। ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা ও বাণিজ্য সচল রাখার লক্ষ্যে দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ অস্থায়ীভাবে ‘জিএসই মেইনটেন্যান্স’ এলাকায় নতুন পণ্য সংরক্ষণস্থল নির্ধারণ করেছে। সেখানে কাস্টমস কর্মকর্তারা পণ্যের কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন করছেন। পাশাপাশি, ৯ নম্বর গেটে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমের সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে, যার মাধ্যমে পণ্য খালাস কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

ঢাকা কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন,“ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা ও বাণিজ্যিক ঘাটতি কমানোর লক্ষ্যে কাস্টমস হাউস সর্বদা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের সুবিধা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় জোরদার করা হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, এ উদ্যোগে বেসামরিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে।

আমদানিকারক মহল কাস্টমস কর্তৃপক্ষের এই দ্রুত পদক্ষেপকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে। একজন আমদানিকারক বলেন, “দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ায় আমাদের পণ্য ডেলিভারি প্রক্রিয়া আবার শুরু হয়েছে। এখন কাস্টম ক্লিয়ারিং শেষে ডেলিভারি পাওয়া যাচ্ছে, যা আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ কমাতে কিছুটা হলেও সাহায্য করবে।”

অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, কাস্টমসের এই সময়োপযোগী উদ্যোগ ব্যবসায়ী মহলে গতি সঞ্চার করেছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের সংকট মোকাবিলায় এটি একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।

উল্লেখ্য, গত শনিবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের কুরিয়ার গোডাউনে আগুনের সূত্রপাত হয়। অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে সরকার অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটওয়ারীকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।