স্পোর্টস ডেস্ক : দিনভর ক্রিকেটপাড়ায় এই ঘটনাটি নিয়েই তুমুল আলোচনা। তবে কিছু একটা যে হয়েছে তাও ঠিক। হয়তো অনেকে একটু রঙ লাগিয়ে কিংবা বাড়িয়ে প্রকাশ করেছন! আবার কেউ কেউ ম্যাচ রেফারির রিপোর্ট ধরে বিচার-বিশ্লেষণ করেছেন। তবে এটাও সত্য ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন রাজিবের সঙ্গে আরাফাত সানি জুনিয়রের ছোটখাটো ঝামেলা হয়নি। যেখানে শাহাদাতের অপরাধও অনেকটা প্রমাণিত। নিজ মুখেই এমন আভাস দিলেন আরাফাত।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) এ নিয়ে আরাফাত বলেন, ‘দেখুন এমন কিছুই হয়নি। তর্ক-বিতর্কের মাঝেই আমি একটু উত্তপ্ত হয়ে গিয়েছিলাম, এরপর তিনি (শাহাদাত) আমাকে ধাক্কা দেন। কিল-ঘুষি মারেনি। আসলে বাহির থেকে অনেক কিছুই দেখা যায়। মাঠে যারা ছিলেন তারা দেখেছেন। পরে এটা মীমাংসাও হয়ে গেছে। এখন আর আমাদের মধ্যে কোনো সমস্যা নেই।’
এ দিকে মাঠে সতীর্থ ক্রিকেটারের গায়ে হাত তুলে নিষেধাজ্ঞার মুখে এখন শাহাদাত। যতদূর জানা গেল, মঙ্গলবার এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে বিসিবি। সেক্ষেত্রে এক বছর কিংবা তারও বেশি সময় নিষিদ্ধ হতে পারেন শাহাদাত। একইসাথে জরিমানাও গুনতে হতে পারে। আপাতত এই অপরাধে ম্যাচের শেষ দুই দিন বহিষ্কার করা হয়েছে এই পেসারকে। যদিও এরইমধ্যে নিজের দোষ স্বীকার করে দু:খ প্রকাশ করেছেন শাহাদাত এবং কাজটা যে ঠিক করেননি সে জন্যও অনুতপ্ত তিনি।
উল্লেখ্য, জাতীয় লিগের ফাইনাল রাউন্ডের দ্বিতীয় দিনের ঘটনা এটি। যার সূত্রপাত বল ঘষা নিয়ে। বোলার শহীদের হাতে বল দেয়ার আগে রাজিব আরাফাত সানিকে বলেন, বল ঘষে দিতে। কিন্তু, সানি তা করতে অস্বীকৃতি জানান। তখন কথা কাটাকাটি হয় দু’জনের। এক পর্যায়ে আরাফাত সানির গায়ে হাত তোলেন রাজিব। ম্যাচ রেফারি আখতার আহমেদ তার রিপোর্টে এভাবেই ঘটনাক্রম উল্লেখ করেছেন। শাহাদাতের বিরুদ্ধে আচরণবিধির লেভেল ৪ ভাঙার অভিযোগ আনেন রেফারি। যা অত্যন্ত গুরুতর। এখন দেখার অপেক্ষা কী শাস্তি হয় শাহাদাতের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।