Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা কেন জরুরি? জানুন কারণগুলি
    লাইফস্টাইল ডেস্ক
    লাইফস্টাইল

    শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা কেন জরুরি? জানুন কারণগুলি

    লাইফস্টাইল ডেস্কMd EliasJuly 7, 20258 Mins Read
    Advertisement

    সেদিন মফস্বলের একটি স্কুলে ঘটে যাওয়া দৃশ্যটি এখনও চোখে ভাসে। ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র আরিফ, তার গণিত শিক্ষক স্যারকে শ্রেণিকক্ষেই অসম্মানজনক ভাষায় গালিগালাজ করছে, কারণ তাকে বাড়ির কাজ জমা দিতে বলা হয়েছিল। চারপাশের শিক্ষার্থীরা ফোনে ভিডিও তুলে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এই বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধার ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিতে ফাটল ধরেছে। কিন্তু কেন এই শ্রদ্ধা শুধু আবেগ বা সংস্কৃতির প্রশ্ন নয়, বরং শিক্ষার অগ্রগতি, সামাজিক শৃঙ্খলা এবং জাতীয় উন্নয়নের অপরিহার্য পূর্বশর্ত? কেন শিক্ষকের প্রতি শ্র্ধা কেবল একটি সৌজন্যতা নয়, বরং একটি সমাজের নৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক স্বাস্থ্যের নির্ণায়ক? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের ফিরে তাকাতে হবে ইতিহাস, মনস্তত্ত্ব, সমাজবিজ্ঞান এবং বর্তমান বাস্তবতার গভীরে।

    শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা কেন জরুরি

    • শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা কেন জরুরি: ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও মনস্তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ
    • শ্রদ্ধার অভাবের প্রভাব: শিক্ষার্থী, প্রতিষ্ঠান ও সমাজের উপর ধ্বংসাত্মক ফলাফল
    • শিক্ষকের মর্যাদা পুনরুদ্ধারে করণীয়: ব্যক্তি, পরিবার, প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রের ভূমিকা
    • জেনে রাখুন

    শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা কেন জরুরি: ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও মনস্তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ

    বাংলাদেশের সমাজ কাঠামোয় শিক্ষক বা ‘গুরু’র স্থান সর্বদাই ঈশ্বর ও পিতামাতার পরেই। প্রাচীন গুরু-শিষ্য পরম্পরা থেকে শুরু করে লালন ফকির, হাজী মুহম্মদ মুহসীন, কিংবা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনের আদর্শ – সবখানেই শিক্ষকের মর্যাদা ছিল অলঙ্ঘনীয়। কিন্তু এই শ্রদ্ধা শুধু রীতিনীতির প্রশ্ন ছিল না। বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রমাণ করে যে, শ্রদ্ধাশীল মনোভাব সরাসরি প্রভাব ফেলে শিখন প্রক্রিয়ায়।

    • মনোবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে: হার্ভার্ডের শিক্ষা মনোবিজ্ঞানী ড. রবার্ট পিয়ান্তা’র গবেষণা (প্রকাশিত American Educational Research Journal-এ) দেখায়, শিক্ষার্থীরা যখন শিক্ষককে আন্তরিকভাবে সম্মান করে, তখন তাদের মস্তিষ্কে ‘সুরক্ষা’ (Safety) ও ‘বিশ্বাস’ (Trust) নিউরোপেপটাইড নিঃসৃত হয়। এটি শেখার জন্য অত্যাবশ্যক ‘অবস্থা গ্রহণযোগ্যতা’ (Receptive State) তৈরি করে। বিপরীতে, শ্রদ্ধার অভাব শিক্ষার্থীকে প্রতিরক্ষামূলক অবস্থানে নিয়ে যায়, শিখন দক্ষতা ৪০% পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে।
    • সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে: বাংলাদেশের গ্রামীণ সমাজে শিক্ষক ছিলেন শুধু পাঠদানকারী নন, সমাজের বিবেক ও ন্যায়বিচারের পরামর্শদাতা। পল্লী কবি জসীমউদ্দীন তাঁর ‘বেদের মেয়ে’ কবিতায় লিখেছেন, “মৌলবী সাহেব পাড়ার আলেম, ছোট ছোট ছেলে তাঁর কাছে ধর্ম শেখে…” – এই চিত্রটি শিক্ষকের সামাজিক ভূমিকার প্রতীক। এই মর্যাদা ভেঙে পড়লে সমাজের নৈতিক কাঠামোও দুর্বল হয়।
    • বাস্তব উদাহরণ: ২০২২ সালে ঢাকার একটি নামকরা স্কুলে অভিভাবকদের দ্বারা একজন শিক্ষিকার শারীরিক লাঞ্ছনার ঘটনা জাতীয় আলোচনায় আসে। এর প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষক সমিতির আন্দোলন এবং সরকারের কঠোর আইনি পদক্ষেপ (শিক্ষক সম্মান আইন, ২০২৩ খসড়া) প্রমাণ করে বিষয়টির জাতীয় গুরুত্ব।

    শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা শুধু ব্যক্তির চরিত্র গঠন করে না; এটি শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ (Classroom Climate) নির্মাণের মূল চাবিকাঠি। একটি শ্রদ্ধাপূর্ণ পরিবেশে:

    • প্রশ্ন করার স্বাধীনতা বাড়ে, ভয় কমে।
    • সৃজনশীলতা ও সমালোচনামূলক চিন্তার বিকাশ ঘটে।
    • সহপাঠীদের মধ্যে সহযোগিতা ও সহমর্মিতা বৃদ্ধি পায়।
    • শৃঙ্খলা বজায় রাখা সহজ হয়, শাস্তির উপর নির্ভরতা কমে।

    শ্রদ্ধার অভাবের প্রভাব: শিক্ষার্থী, প্রতিষ্ঠান ও সমাজের উপর ধ্বংসাত্মক ফলাফল

    যখন শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্কে শ্রদ্ধার বন্ধন ক্ষয়িষ্ণু হয়, তখন এর প্রভাব কেবল শ্রেণিকক্ষের চার দেয়ালে সীমাবদ্ধ থাকে না। এটি ছড়িয়ে পড়ে পুরো শিক্ষাব্যবস্থা, এমনকি জাতির ভবিষ্যৎ কর্মক্ষমতা ও নৈতিক ভিত্তির উপর।

    শিক্ষার্থীদের উপর প্রত্যক্ষ ও দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি

    • শিখনের মান হ্রাস: শ্রদ্ধার অভাব শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে বিশ্বাসের সম্পর্ক ভেঙে দেয়। ফলে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের দেওয়া জ্ঞান বা নির্দেশনা সন্দেহের চোখে দেখে, গভীরভাবে শিখতে ব্যর্থ হয়।
    • আচরণগত সমস্যা বৃদ্ধি: গবেষণা (যেমন, Journal of Youth and Adolescence-এ প্রকাশিত) দেখায়, শিক্ষকদের প্রতি অসম্মানজনক আচরণ প্রদর্শনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরবর্তী জীবনে কর্তৃপক্ষের প্রতি অবাধ্যতা, আইন লঙ্ঘনের প্রবণতা এবং আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্কে সংঘাত বেশি দেখা যায়।
    • নৈতিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত: শিক্ষকরা শুধু বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানই দেন না, সততা, দায়িত্ববোধ ও সহানুভূতির মতো মূল্যবোধেরও বাহক। তাদের প্রতি শ্রদ্ধাহীনতা এই মূল্যবোধগুলোকে দুর্বল করে তোলে।

    শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক সমাজের উপর চাপ

    • শিক্ষকের মনোবল ভাঙা: অবিরাম অসম্মান, সমালোচনা বা হুমকির মুখোমুখি হয়ে অনেক মেধাবী ও নিবেদিত শিক্ষক পেশা ছাড়তে বাধ্য হন বা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগেন। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির ২০২৩ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, ৬৮% প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক চাকুরীর চাপ ও সামাজিক মর্যাদাহীনতার কারণে উদ্বেগে ভুগছেন।
    • প্রাতিষ্ঠানিক পরিবেশের অবনতি: শ্রদ্ধার সংস্কৃতির অভাব বিদ্যালয়কে শিক্ষার কেন্দ্র না হয়ে সংঘাতের ক্ষেত্রে পরিণত করতে পারে, যা সকলের শেখার সুযোগকে ক্ষুণ্ণ করে।

    জাতীয় ও সামাজিক স্তরে প্রভাব: ভবিষ্যতের হুমকি

    • দক্ষ মানবসম্পদের ঘাটতি: একটি শ্রদ্ধাহীন শিক্ষা পরিবেশ গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারে না, ফলে জাতি দক্ষ ও উদ্ভাবনী নাগরিক তৈরিতে পিছিয়ে পড়ে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ায় শিক্ষার মানের সাথে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সরাসরি সম্পর্ক বিদ্যমান।
    • সামাজিক সংহতির ক্ষয়: শিক্ষকরা সামাজিক সংহতির রক্ষক। তাদের প্রতি শ্রদ্ধার অভাব সমাজে অবাধ্যতা, স্বার্থপরতা ও বিভেদের সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেয়, যা গণতন্ত্র ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

    বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. তাহমিনা আহমেদের মতে, “শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধার হ্রাস শুধু শিক্ষার সংকট নয়, এটি আমাদের সামষ্টিক সামাজিক মূল্যবোধের সংকটেরই নির্দেশক। শহুরে মধ্যবিত্ত পরিবারে ডিজিটাল ডিভাইসের আধিপত্য এবং গ্রামে পেশিশক্তির উত্থান – উভয়ই এই সংকটকে ত্বরান্বিত করছে।”


    শিক্ষকের মর্যাদা পুনরুদ্ধারে করণীয়: ব্যক্তি, পরিবার, প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রের ভূমিকা

    শিক্ষকের প্রতি শ্র্ধা শুধু আবেগ দিয়ে ফিরিয়ে আনা যাবে না; এজন্য প্রয়োজন সুনির্দিষ্ট, বহুমুখী ও টেকসই পদক্ষেপ।

    ব্যক্তি ও পরিবার স্তরে:

    • অভিভাবকদের দায়িত্ব: সন্তানদের শৈশব থেকেই শিক্ষকদের গুরুত্ব ও মর্যাদা সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। স্কুলের অভিযোগ বা মতপার্থক্য সৌজন্য ও সম্মানের সাথে শিক্ষকের সাথে সরাসরি আলোচনা করতে হবে, সামাজিক মাধ্যমে নয়। অভিভাবক-শিক্ষক সমন্বয় সভা (PTA) সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সম্পর্ক জোরদার করতে হবে।
    • শিক্ষার্থীদের ভূমিকা:
      • শ্রেণিকক্ষে মনোযোগ দিয়ে শোনা, সময়মতো কাজ জমা দেওয়া।
      • শিক্ষককে প্রথাগত সম্মানসূচক (স্যার/ম্যাডাম) সম্বোধন করা।
      • ভুল হলে ক্ষমা চাওয়ার সাহস রাখা।
      • শিক্ষকের উপদেশ ও পরামর্শকে মূল্যবান সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা।

    শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্তরে:

    • নেতৃত্বের ভূমিকা: প্রধান শিক্ষক/অধ্যক্ষকে শ্রদ্ধার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার অগ্রভাগে থাকতে হবে। শিক্ষকদের পেশাগত উন্নয়ন, ন্যায্য মূল্যায়ন এবং তাদের কর্মপরিবেশের উন্নয়নে বিনিয়োগ করতে হবে।
    • স্পষ্ট নীতিমালা ও বাস্তবায়ন: শিক্ষকদের প্রতি অসম্মানজনক আচরণের (মৌখিক বা শারীরিক) জন্য সুনির্দিষ্ট ও কার্যকর শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা থাকতে হবে, যা সকলের কাছে জানানো এবং সমানভাবে প্রয়োগ করা হয়।
    • শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক গঠনমূলক কার্যক্রম: বার্ষিক ‘শিক্ষক দিবস’ পালনের পাশাপাশি নিয়মিত অনানুষ্ঠানিক আলোচনা, যৌথ সাংস্কৃতিক বা ক্রীড়া কার্যক্রমের মাধ্যমে সম্পর্কের মধ্যে আন্তরিকতা ও বোঝাপড়া বাড়ানো যায়।

    জাতীয় ও নীতিগত স্তরে:

    • শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা ও আর্থিক নিরাপত্তা: শিক্ষকতা পেশাকে আকর্ষণীয় ও সম্মানজনক করতে চাকুরির নিরাপত্তা, যৌক্তিক ও প্রতিযোগিতামূলক বেতন এবং পেশাগত উন্নয়নের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। ‘জাতীয় শিক্ষক সম্মাননা’ এর মতো উদ্যোগ আরও জোরদার করা।
    • পাঠ্যক্রমে মূল্যবোধ শিক্ষার একীকরণ: শিক্ষাক্রমে নৈতিক শিক্ষা, নাগরিক দায়িত্ব ও আন্তঃব্যক্তিক শ্রদ্ধার বিষয়গুলোকে আরও শক্তিশালী ও ব্যবহারিকভাবে উপস্থাপন করতে হবে।
    • কঠোর আইন ও তার প্রয়োগ: শিক্ষকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বা চরম অসম্মানজনক আচরণের বিরুদ্ধে কঠোর আইন (যেমন প্রস্তাবিত ‘শিক্ষক সম্মান ও সুরক্ষা আইন, ২০২৩’) দ্রুত পাস ও কার্যকর করা এবং এর প্রয়োগ নিশ্চিত করা।
    • মিডিয়া ও গণসচেতনতা: গণমাধ্যমের উচিত শিক্ষকদের ইতিবাচক ভূমিকা, তাদের চ্যালেঞ্জ এবং শ্রদ্ধার গুরুত্ব নিয়ে নিয়মিত গঠনমূলক প্রতিবেদন প্রচার করা, যা সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে সাহায্য করবে।

    বাস্তব সাফল্যের উদাহরণ: কুমিল্লার একটি গ্রামের উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ফরিদা ইয়াসমিন ‘সম্মান অ্যাম্বাসেডর’ প্রোগ্রাম চালু করেন, যেখানে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের ইতিবাচক অবদান চিহ্নিত করে সপ্তাহে একবার শ্রদ্ধা জানায়। দুই বছরে বিদ্যালয়ের পরীক্ষার ফলাফল ও শৃঙ্খলার উন্নতি হয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।


    জেনে রাখুন

    ১। প্রশ্ন: শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানোর সবচেয়ে বেসিক উপায়গুলি কী কী?
    উত্তর: শ্রদ্ধা দেখানোর মৌলিক উপায়গুলির মধ্যে রয়েছে: শিক্ষককে সঠিকভাবে সম্বোধন করা (স্যার/ম্যাডাম), শ্রেণিকক্ষে মনোযোগ দিয়ে শোনা ও সক্রিয় অংশগ্রহণ করা, নির্ধারিত সময়ে কাজ ও অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়া, শিক্ষকের উপদেশ ও পরামর্শকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা, এবং প্রয়োজনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া। ভুল হলে সাহসের সাথে ক্ষমা চাওয়াও শ্রদ্ধার প্রকাশ।

    ২। প্রশ্ন: শিক্ষক যদি ভুল করেন, তাহলেও কি তাকে শ্রদ্ধা করতে হবে?
    উত্তর: শ্রদ্ধার অর্থ অন্ধ আনুগত্য নয়। শিক্ষকও মানুষ, তারও ভুল হতে পারে। শ্রদ্ধার সাথে ভুলটি ব্যক্তিগতভাবে ও ভদ্রভাবে জানানো যায়। যেমন: “স্যার, আমি ভাবছিলাম, এই পয়েন্টটি অন্য রকমও হতে পারে কিনা?” এভাবে গঠনমূলক মতামত দেওয়া যায় সম্মান বজায় রেখে। কিন্তু প্রকাশভঙ্গি আক্রমণাত্মক বা অসম্মানজনক হওয়া চলবে না।

    ৩। প্রশ্ন: ডিজিটাল যুগে অনলাইন ক্লাসে কিভাবে শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাবো?
    উত্তর: অনলাইনেও শ্রদ্ধা বজায় রাখা জরুরি। ক্লাসের সময় নিয়মিত ও সময়মতো যুক্ত হওয়া, ভিডিও অন রেখে মনোযোগ দেওয়া, অপ্রাসঙ্গিক চ্যাট না করা, মাইক মিউট করে কথা বলা (শিক্ষক অনুমতি না দিলে), অ্যাসাইনমেন্ট সময়মতো জমা দেওয়া এবং শিক্ষকের নির্দেশনা সঠিকভাবে অনুসরণ করা। শিক্ষককে ইমেল বা মেসেজে ভদ্র ভাষায় যোগাযোগ করা।

    ৪। প্রশ্ন: অভিভাবকরা কীভাবে সন্তানকে শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা করতে শেখাবেন?
    উত্তর: অভিভাবকদের সরাসরি ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিজেরা শিক্ষকদের সম্মানজনক আচরণ করবেন এবং সন্তানের সামনে শিক্ষকদের নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য এড়িয়ে চলবেন। শিক্ষকদের কৃতিত্ব ও পরিশ্রমের কথা সন্তানকে জানাবেন। স্কুলের সিদ্ধান্ত বা শিক্ষকের কোনো নির্দেশনা নিয়ে প্রথমে সরাসরি শিক্ষকের সাথে আলোচনা করবেন, সন্তানের সামনে সমালোচনা নয়। শিক্ষক দিবসে ছোট্ট উপহার বা কার্ড দেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।

    ৫। প্রশ্ন: শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা জাতীয় উন্নয়নে কীভাবে ভূমিকা রাখে?
    উত্তর: শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা একটি শক্তিশালী শিক্ষাব্যবস্থার ভিত্তি তৈরি করে। শ্রদ্ধাশীল পরিবেশে শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি পায়, দক্ষ ও নৈতিকতাসম্পন্ন নাগরিক তৈরি হয়। এই নাগরিকেরাই দেশের অর্থনীতি, প্রশাসন ও সামাজিক উন্নয়নে নেতৃত্ব দেয়। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG 4 – Quality Education) অর্জনেও শিক্ষকদের মর্যাদা ও সক্ষমতা প্রধান পূর্বশর্ত।


    শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা কোনো আনুষ্ঠানিকতা বা অতীতের স্মৃতি নয়; এটি বর্তমানের জরুরি দাবি এবং ভবিষ্যতের জন্য অপরিহার্য বিনিয়োগ। এটি ছাত্রজীবনের সাফল্য, ব্যক্তিত্বের পরিপূর্ণ বিকাশ, সামাজিক শান্তি এবং জাতীয় অগ্রগতির চাবিকাঠি। প্রতিটি ‘স্যার’ বা ‘ম্যাডাম’ এর পিছনে লুকিয়ে আছে অগণিত রাত জেগে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের গল্প, ব্যক্তিগত ত্যাগ এবং জাতি গঠনের স্বপ্ন। তাদের প্রতি আমাদের সম্মান ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ শুধু তাদেরই উৎসাহিত করে না, তা আমাদের নিজেদের ভিতরেও জাগিয়ে তোলে মানবিক মূল্যবোধের আলো। আজই আপনার জীবনের সেই শিক্ষককে মনে করুন, যার একটি কথা, একটি উৎসাহ আপনার পথ বদলে দিয়েছিল। তাকে একটি ফোন করুন, একটি বার্তা পাঠান – একটি সহজ ‘ধন্যবাদ’ বলুন। এই ছোট্ট পদক্ষেপই ফিরিয়ে আনতে পারে সেই হারানো সংস্কৃতি, গড়ে তুলতে পারে একটি আলোকিত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের ভিত্তি।


    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    উন্নয়ন: উৎস কারণগুলি কেন গুণমান জরুরি জানুন প্রতি বিকাশ ব্যবস্থা ভূমিকা মনোলোক লাইফস্টাইল শিক্ষকের শিক্ষা শ্রদ্ধা সম্পর্কে সচেতনতা
    Related Posts

    বাবার নামে বৈদ্যুতিক মিটার? ওয়ারিশ সূত্রে নিজেদের নামে করার নিয়ম

    July 30, 2025
    Age

    কোন ভিটামিন খেলে বয়স কমবে হু হু করে, জেনে নিন

    July 30, 2025
    মেয়েরা

    ছেলেদের দিকে তাকিয়ে যে জিনিসটি সবার আগে দেখে মেয়েরা

    July 30, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Brazil interest rate decision

    Brazil Markets on Edge: U.S. Tariffs Threaten Exports as Central Bank Meets

    drone thermal imaging

    How Texas Floods Sparked New Thermal Drone Technique (48 characters)

    Grand Sierra Resort shooting

    Grand Sierra Resort Shooting: Suspect Dakota Hawver’s Background, Charges, and Unanswered Questions

    OITNB actor homeless

    Orange is the New Black Actor Reveals Homelessness During Filming: Life Lesson

    Mexican Peso

    Mexican Peso Steadies at 18.75 Amid Dollar Swings: Trade Deal Turbulence Analyzed

    Stewart Friesen Accident

    Stewart Friesen Accident: Wife Jessica Provides Update After Devastating Dirt Track Crash

    I Adopted a Villainous Dad Chapter 86

    I Adopted a Villainous Dad Chapter 86: Release Time, Spoiler Leaks, and Reading Guide

    msft stock

    Microsoft Stock Soars as Azure Revenue Tops $75 Billion in Annual Sales

    meta stock

    Meta Stock Surges 10% After Stellar Earnings and Bold AI Investments

    alexandre de moraes

    U.S. Sanctions Brazilian Judge Alexandre de Moraes Over Bolsonaro Trial, Escalating Diplomatic Tensions

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.