জুমবাংলা ডেস্ক : দেশের বিভিন্ন জেলায় নতুন করে আরও ৯টি সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ চালু করছে সরকার। এরমধ্যে ২০২৬ সাল থেকেই সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা নিয়ে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু করবে ৪টি স্কুল অ্যান্ড কলেজ। বাকিগুলোর ধাপে ধাপে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সংশ্লিষ্ট সূত্র। দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের প্রতিবেদন থেকে বিস্তারিত-
প্রকল্প সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের অক্টোবর মাস থেকে ৯টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পটি শুরু হয়। পরবর্তীতে ২০২২ সালে প্রকল্পটির নাম পরিবর্তন করে মন্ত্রণালয়। নতুন নামকরণ করা হয়, ৯টি সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপন প্রকল্প। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৪৬ কোটি টাকা। ৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২টির ভবন হবে ৬ তলা করে, বাকিগুলো ১০ তলা করে ভবন নির্মাণ করা হবে।
জানা গেছে, রাজশাহী বিভাগে ২টি, চট্টগ্রামে ২টি, ময়মনসিংহে ১টি, রংপুরে ২টি, জয়পুরহাট জেলায় ১টি ও মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ১টি সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ করা হবে। ইতোমধ্যে ৯টি স্কুল অ্যান্ড কলেজের নামকরণ করে একটি অফিস আদেশও জারি করা হয়েছে।
৯টির মধ্যে ৪টি সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ নতুন বছর অর্থ্যাৎ ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকেই শিক্ষার্থী ভর্তি ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু করতে পারবে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-জয়পুরহাটের শহীদ মাহতাব উদ্দিন মন্ডল সরকারি বালিকা বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ; মৌলভীবাজারের বর্মাছাড়া টি গার্ডেন সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, শ্রীমঙ্গল; শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, চট্টগ্রাম (পূর্ব পতেঙ্গা) ও মাস্টারদা সূর্যসেন সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, চট্টগ্রাম (উত্তর পতেঙ্গা)। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্মাণ কাজ শেষ হবে। তবে ধাপে ধাপে বাকিগুলোর অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানা গেছে।
ইতোমধ্যে জয়পুরহাটের শহীদ মাহতাব উদ্দিন মন্ডল সরকারি বালিকা বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজে প্রধান শিক্ষক, সহযোগী স্টাফও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ছাড়াও প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১ হাজার ৪০০ শিক্ষার্থীর অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমের সক্ষমতা রয়েছে। ৯টি স্কুল অ্যান্ড কলেজে থাকছে, মোট ১৪৫টি শ্রেণি কক্ষ, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, আইসিটি ল্যাব, বিজ্ঞানাগার, শিক্ষক কমনরুম, শিক্ষার্থী কমনরুম, লাইব্রেরি, বেঙ্কোয়েট রুম, নামাজ ঘর, দর্শনার্থী কক্ষ, বিএনসিসি কক্ষ, গার্লস গাইড কক্ষ, প্রাথমিক চিকিৎসা কক্ষ, স্টোর রুম, মিড-ডে-মিল কক্ষ, সেমিনার হল, মাল্টিপারপাস হল রুম, প্রধান শিক্ষকের কক্ষ, সহকারী প্রধান শিক্ষকের কক্ষ, অফিস কক্ষ, লিফট ও টয়লেট ব্লক।
এমনকি প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে আইসিটি সরঞ্জাম, বিজ্ঞানাগারের সংস্থানসহ খেলাধুলা সামগ্রী সরবরাহ করা হবে বলে প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে।
চলতি বছরের ডিসেম্বরে শেষ হবে এই প্রকল্পের মেয়াদ। ইতোমধ্যে প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের দিকে রয়েছে বলে জানায় প্রকল্পটির উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আশিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমাদের ৯টি স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামের প্রকল্পটির কাজ প্রায় শেষের দিকে। আগামী ডিসেম্বরে কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, যদি কোনো কারণে কোনোটির কাজ বাকি থাকে, তাহলে নতুন বছরে হয়তো ৩ মাস লাগতেও পারে আবারও নাও পারে। এসব স্কুল অ্যান্ড কলেজে অত্যাধুনিক সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা থাকছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।