জুমবাংলা ডেস্ক : নতুন করে সময় নির্ধারণ করা হয়েছে শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডির ফরম পূরণ ও ডাটা অ্যান্ট্রির। বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) এক নির্দেশনায় ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিভাগভিত্তিক তথ্য পাঠাতে বলেছে। রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি প্রদান সংক্রান্ত বিষয়ে ডাটা অ্যান্ট্রির জন্য পুনর্নির্ধারিত সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। ডাটা এন্ট্রির সময়সীমা আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু কারিগরি ক্রটি ও মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন সমস্যার কারণে ডাটা অ্যান্ট্রি কার্যক্রম ধীরগতি হওয়ায় ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে বিভাগভিত্তিক ডাটা অ্যান্ট্রির নতুন এ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন সময়সীমায় বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে, ঢাকা বিভাগে ১ মার্চ থেকে ১৬ মার্চের মধ্যে, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগে ১৭ থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে, বরিশাল ও খুলনা বিভাগে ১ এপ্রিল থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত এবং রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের শিক্ষার্থীদের তথ্য ১৩ থেকে ২৭ এপ্রিলের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, বিভাগভিত্তিক উল্লিখিত সময়ের মধ্যে ডাটা অ্যান্ট্রি সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে। এক বিভাগের প্রতিষ্ঠান অন্য বিভাগের জন্য নির্ধারিত সময়ে দেয়া যাবে না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ইউনিক আইডির ডাটা অ্যান্ট্রি কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত ও স্কুল না খোলা পর্যন্ত এ কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে ব্যানবেইস। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার পর বিজ্ঞপ্তি আকারে তা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জানিয়ে দেওয়া হয়।
প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক শামসুল আলম স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, আইইআইএমএস (এডুকেশনাল ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ শেষ না হওয়ায় এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদান কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় তথ্যছক পূরণ ও ডাটা অ্যান্ট্রি কার্যক্রম আপাতত স্থগিত রাখার জন্য অনুরোধ করা হলো।
এতে আরও বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদান কার্যক্রম শুরুর পর ইউনিক আইডি প্রদানের তথ্যছক পূরণের কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে গ্রহণ করা যেতে পারে। তথ্যছক পূরণের সময়সীম পরে জানানো হবে।
দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর জন্য একটি ‘ইউনিক আইডি’ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মৌলিক ও শিক্ষাসংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য এক জায়গায় রাখার জন্য তৈরি করা হচ্ছে ইউনিক আইডি। শিক্ষার্থীর বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলে এই আইডি জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) রূপান্তরিত হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।