জুমবাংলা ডেস্ক: আজ থেকে নিউ মার্কেটসহ ওই এলাকার সব বিপণিকেন্দ্র খুলছে। দুদিনের সংঘাতের অবসান ঘটাতে সমঝোতায় পৌঁছেছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) প্রথম প্রহরে শুরু হয়ে চার ঘণ্টার বৈঠক শেষে সমঝোতা হওয়ার কথা জানান ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের মহাপরিচালক নেহাল আহমেদ।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে নিউ মার্কেটসহ ওই এলাকার সব বিপণিকেন্দ্র খুলবে। আর ছুটির মধ্যে ছাত্রদের হলে থাকার বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে। বৈঠকের পর আর কোনো বিভেদ থাকবে না বলে আশা করছি। আজ সকাল থেকে নিউ মার্কেটসহ আশপাশের সব মার্কেট ও দোকানপাট খুলবে। কলেজ যেহেতু আজ থেকে সরকারিভাবে বন্ধ, সেহেতু ছাত্রদের হলে থাকার বিষয়টিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দোকানকর্মীদের রক্তক্ষয়ী এই সংঘর্ষের পেছনে তৃতীয় পক্ষের উসকানি ছিল বলে দাবি করেছেন নেহাল। পুলিশ জানিয়েছে, এটি তদন্ত করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ঢাকা কলেজের পাশে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (সায়েন্স ল্যাবরেটরি) সভা কক্ষে এই বৈঠকে শিক্ষার্থীদের ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। কলেজের শিক্ষকরাও ছিলেন।
নেহাল আহমেদের নেতৃত্বে এই বৈঠকে ব্যবসায়ী নেতাদের পাশাপাশি পুলিশের উপমহাপরিদর্শক পদমর্যাদার একজনসহ কয়েকজন কর্মকর্তা ছিলেন। রোজার মধ্যে ভোররাতে সেহেরি খেয়েও বৈঠক চালিয়ে যান তারা। সাড়ে ৪টার দিকে সাংবাদিকদের সামনে এসে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান নেহাল আহমেদ।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের মহাপরিচালক নেহাল আহমেদ, ‘সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশে সব পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। ছাত্রদের ১০ দাবি ছিল, তার বেশিরভাগ দাবিই পূরণ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
সোমবার রাতে সংঘাতের পর মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের সংঘর্ষে জড়ায় শিক্ষার্থী ও নিউ মার্কেটের দোকান কর্মচারীরা। দোকান মালিকরা জানান, দুই দোকানের কর্মীদের বচসা থেকে এক পক্ষ ঢাকা কলেজ ছাত্রাবাস থেকে ছাত্রলীগের কয়েক কর্মীকে ডেকে নেয়।
তারা গিয়ে মারধরের শিকার হওয়ার পর ছাত্রাবাসে ফিরে আরও শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভোররাতে নিউ মার্কেটে হামলা চালাতে গেলে বাঁধে সংঘর্ষ। মঙ্গলবার চলা এই সংঘর্ষে অর্ধ শত ব্যক্তি আহত হয়, নিহত হন এক পথচারী। নাহিদ হাসান নামে ওই তরুণকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
বুধবার মধ্যরাতে সমঝোতা বৈঠকে যাওয়ার আগে ১০ দফা দাবি তুলে সংবাদ সম্মেলন করে কলেজ ও ছাত্রাবাস বন্ধের সিদ্ধান্ত অমান্য করেই ছাত্রাবাসে থাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। সেখানে ক্ষতিপূরণসহ নানা দাবির সঙ্গে ওই এলাকায় পদে থাকা পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রত্যাহারের দাবিও ছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।