জুমবাংলা ডেস্ক : চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে কুসুমকলি পল্লী উন্নয়ন সোসাইটির পরিচালকের বিরুদ্ধে গ্রাহকের প্রায় ৪ কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এনজিওটির এরিয়া ম্যানেজার নিয়ামত আলী প্রায় ৭০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর পক্ষে শিবগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন।
তিনি লিখিত অভিযোগে জানান, কুসুমকলি পল্লী উন্নয়ন সোসাইটি নামের এনজিওটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ১১ টি শাখা নিয়ে চলছিল। উক্ত সংস্থাটির উন্নয়নের জন্য আমরা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার জনগনের মধ্যে সঞ্চয়, এফডিআর ও ঋণ কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলাম। কিন্তু ৩ মার্চ থেকে উক্ত সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক খাইরুল ইসলাম বিভিন্ন গ্রাহকের প্রায় ৪ কেটি টাকা নিয়ে উধাও হয়েছেন। ধীরে ধীরে বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রাহকগণ আমাদের নিকট ছুটে আসে এবং নির্বাহী পরিচালক খাইরুল ইসলামের বাড়িতে ৫ মার্চ খোঁজ নেয়ার জন্য গেলে তার স্ত্রী ও ভাইসহ কয়েকজন লোক আমাদেরকে কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। এমতাবস্থায় আমরা সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মিলে নির্বাহী পরিচালক খাইরুল ইসলামের সন্ধান ও তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে আত্নসাত অর্থ উদ্ধার করে গ্রাহকদের নিকট ফিরিয়ে দেয়ার নিমিত্তে শিবগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
এদিকে সরেজমিনে শিবগঞ্জের ত্রিমোহনী বাজারে কুসুমকলি পল্লী উন্নয়ন সোসাইটির প্রধান কার্যালয়ে গেলে কার্যালয়ের সামনে ভুক্তভোগী শত শত গ্রাহক ও দিশেহারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি দেখা যায়। এসময় উক্ত সংস্থায় কর্মরত ম্যানেজার, এরিয়া ম্যানেজার ও বিভিন্ন ব্রাঞ্চ ম্যানেজার সহ ভুক্তভোগী শত শত গ্রাহক সংস্থার নির্বাহী পরিচালক খাইরুল ইসলামকে উদ্ধার করে গ্রাহকের গ্রায় ৪ কোটি টাকা ফিরিয়ে দেয়া সহ তার কঠোর শাস্তি দাবি করেন।
শিবগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র জানান, আমি অভিযোগ পেয়ে কয়েকবার সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক আত্মগোপনকারী খাইরুল ইসলামের বাড়িতে গেয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনোভাবেই তার কোনো সন্ধান মেলেনি। বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। তবে তার বিরুদ্ধে মামলা হলে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা আরো সহজ হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।