ইন্ডাস্ট্রি করার ক্ষেত্রে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে গ্যাসের তীব্র সংকট। পাশাপাশি গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে তা শিল্প খাতের জন্য নতুন ঝুঁকি তৈরি করছে। ব্যবসায়ী নেতারা দাবি করেছে যে, যদি এভাবে জ্বালানির দাম বাড়ানো হয় তাহলে দেশে নতুন করে কোন শিল্পকারখানা গড়ে তোলা হবে না।
ঢাকায় এক হোটেলে সেমিনার আয়োজন করা হয়। সেখানে ব্যবসায়ীর নেতারা এসব কথা বলেন। তবে বিইআরসি চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ বলেন যে, আমাদের নিজস্ব উৎস থেকে গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহ বৃদ্ধি করা উচিত। কিন্তু শেখ হাসিনার পুরো সময়টাতে সেটা করা হয়নি।
অন্যদিকে সরকার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী নতুন করে শিল্প ইন্ডাস্ট্রির ক্ষেত্রে ১৫০ শতাংশ গ্যাসের দাম বাড়তি গুনতে হবে। অন্যদিকে গ্যাস সরবরাহ করার বিষয় ৫০ শতাংশ জালালির দাম বৃদ্ধি পাবে।
এমন উদ্যোগের কঠোর সমালোচনা করছেন শিল্পোদ্যোক্তারা। এমন অবস্থা চললে, এদেশে আর শিল্প কারখানা না করার হুঁশিয়ারিও দেন তারা। পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ ও ইকোনমিক রিপোর্টারস ফোরামের সেমিনারে ব্যবসায়ীরা জানান, জ্বালানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত শিল্পখাতের জন্য আত্মঘাতী। এর চাপ নিতে পারবে না উদ্যোক্তারা। বর্তমান সরকার শিল্পে জ্বালানি নিরাপত্তা দিতে পারেনি বলেও অভিযোগ তাদের।
পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ বলেন, ‘আমার ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথের যে চাকাটা, এটাকে ধরে রাখার জন্য কিন্তু নিরবচ্ছিন্ন ও অ্যাফোর্ডেবল এনার্জি প্রয়োজন। আমার ম্যাক্রো স্ট্যাবিলিটি এটার সাথেও কিন্তু এনার্জির একটা বড় সম্পর্ক আছে।’
বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী বলেন, ‘এক্সপানশনের জন্য ৫০ ভাগ বাড়ানো হবে। থ্যাংকস টু দ্যা গভর্নমেন্ট, যে তারা এ ধরনের অ্যানাউন্সমেন্ট এখন করেছে। কারণ আমরা কেউ আর ইন্ডাস্ট্রি করতে ইন্টারেস্টেড না। এবং এটা হবে না। বাংলাদেশে আর কোনো ইন্ডাস্ট্রিই আর হবে না।’
এমন পরিস্থিতিতে দেশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান টিকে থাকবে কিনা তা নিয়ে সংশয় জানান বিশেষজ্ঞরা। দেশের অর্থনীতি ধরে রাখতে হলে গ্যাসের দাম বর্তমানের চেয়ে কমানো দরকার বলেও মত তাদের। জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ইজাজ হোসেন বলেন, ‘প্রতিদিনই আমাদের গ্যাস সাপ্লাই কমছে। এটা সাংঘাতিক ডেঞ্জারাস। আমাদের যে বিবিয়ানা যেটার ওপর আমরা ৫০ ভাগ নির্ভর করি, ওইটাও অনেক পুরাতন ফিল্ড। বুড়ো হয়ে গেছে।’
বিইআরসি চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ বলেন, ‘পুরোনো পলিসিতে আছে প্রতিবছর ৪টি করে কূপ খনন করার জন্য। আমরা যদি চারটি কূপও প্রতিবছর খনন করতাম কতগুলি কূপ হতো। আমরা গত ১৫ বছরে এক্সপ্লোরেশনে তেমন কিছুই খরচ করিনি।’ ভোলার গ্যাস ঢাকায় নিয়ে আসলে আগামী ৩ বছরের জন্য সরবরাহ সংকট কিছুটা কমবে বলে জানান বিইআরসি চেয়ারম্যান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।