শিশুকে প্রাইভেট কারে তুলে পালানোর সময় আটক ৪

অপহরণের ঘটনায় জড়িত চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। ছবি : সংগৃহীত

জুমবাংলা ডেস্ক : বগুড়ার গাবতলীতে সৌরভ নামের চার বছরের এক শিশুকে প্রাইভেট কারে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার সময় জনতার হাতে ধরা পড়েছে চার অপহরণকারী। এ সময় উত্তেজিত জনতা আটক চারজনকে বেদম মারধর করে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ ছাড়া এই অপহরণের কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেট কারটি ব্যাপক ভাঙচুর করে। ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে দেরি হওয়ার অভিযোগ তুলে পুলিশের ওপরও চড়াও হয় স্থানীয়রা।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গাবতলী উপজেলার পাঁচ মাইল নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে প্রাইভেট কারসহ চারজনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন গাবতলী উপজেলা রামেশ্বরপুর ইউনিয়নের ঘোন সাগাটিয়া গ্রামের মিল্লাত হোসেন (৩০), একই গ্রামের রেজাউল ইসলাম (২২), সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশের আল-আমিন (২৩) ও ঠাকুরগাঁও জেলার শরিফুল ইসলাম (২৪)।

পুলিশ জানায়, গাবতলী উপজেলার মোদিপাড়া গ্রামের কৃষক সুজন মিয়ার ছেলে সৌরভ বাড়ির পাশে খেলাধুলা করছিল। এ সময় সাদা রঙয়ের একটি প্রাইভেট কারে ওই চারজন সেখান থেকে শিশুটিকে তুলে নিয়ে বগুড়া শহরের দিকে রওনা হয়। অপহরণের ঘটনাটি জানাজানি হলে গ্রামের লোকজন ধাওয়া করে এক কিলেমিটার দূরে পাঁচ মাইল নামক স্থানে প্রাইভেটকারটি আটক করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন প্রাইভেটকার থেকে শিশুটিকে উদ্ধার এবং চারজন অপহরণকারীকে আটক করে। এ সময় এলাকার শত শত জনতা আটক চারজনকে মারপিট করে আটকে রাখে।

এদিকে, থানা পুলিশ এক ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে পৌঁছালে জনগণ বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে এবং পুলিশের ওপর চড়াও হয়। জনগণ আটক চারজনকে পুলিশের হাতে না দিয়ে গণপিটুনি দিতে উদ্যত হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সেখানে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে এবং আটক চারজনকে থানায় নিয়ে যায়।

গাবতলী মডেল থানার ওসি নুরুজ্জামান বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনগণের হাতে আটক চারজনকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা সবাই গামের্ন্টস কর্মী। গাবতলীর সাগাটিয়া গ্রামে মিল্লাত ও রেজাউলের বাড়িতে প্রাইভেট কার ভাড়া নিয়ে বেড়াতে আসে আল-আমিন ও শরিফুল ইসলাম। সেখানে এসে তারা ফন্দি আঁটে এলাকা থেকে শিশু অপহরণ করে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করবে। সেই মোতাবেক তারা এ কাজ করে।‘

ওসি জানান, ওই শিশুর পরিবারকে থানায় ডাকা হয়েছে। তারা মামলা দিলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।