শিশু মুনতাহার মৃত্যু নাড়া দিয়েছে পুরো দেশের মানুষকে। বাচ্চাদের নিরাপত্তা ইস্যু ভাবাচ্ছে নতুন করে। এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সচেতনতার পাশাপাশি শেখাতে হবে বাচ্চাদেরও। এ ধরনের ঘটনা সত্যি সবাইকে ভাবিয়ে তোলে বাচ্চাদের নিরাপত্তা নিয়ে। চলুন জেনে নিই আমাদের বাচ্চাদের নিরাপদ রাখতে কোন বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিতে পারি আমরা।
সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন বাচ্চার আস্থার জায়গায়। অভিভাবকদের এটা নিশ্চিত করতে হবে, যেটাই হোক না কেন মা–বাবা তার পাশে আছে। তাহলেই বাচ্চারা খুব সহজেই তাদের কাছে মন খুলে কথা বলতে পারে। যেটাই ঘটবে সেটাই শেয়ার করবে।
আমরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বলে থাকি, মা–বাবা হবে বেস্ট ফ্রেন্ড। আসলে সেটা নয়, মা–বাবাকে হতে হবে সহজ ও কমফোর্টেবল প্যারেন্ট। যাতে বাচ্চারা মন খুলে সব শেয়ার করতে পারে। আর এই আস্থা তৈরি হলে বাচ্চারা মা–বাবার কাছে অনায়াস হবে।’
আরও একটি বিষয়ে তাঁর পরামর্শ হলো, সমস্যা সমাধানের কৌশলী হতে হবে। ছোটখাটো কোনো বিষয়কে নিয়ে অধিক উত্তেজনার প্রয়োজন নেই। তিলকে তাল করলে বাচ্চা ঘাবড়ে যাবে। বরং বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে, কৌশলী হয়ে সমাধানই শ্রেয়। কারণ, বেশি উত্তেজনায় বাচ্চা ভয় পাবে। পরে আর সে কোনো কিছুই শেয়ার করবে না। তাতে হিতে বিপরীত হবে। মা–বাবারা আবেগপ্রবণ হয়েই থাকেন সন্তানের ব্যাপারে।
তবে তাঁদের ইমোশনাল না হয়ে বরং ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্সকে কাজে লাগাতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন যথাযথ প্যারেন্টিং ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট। আরও একটি বিষয়ে তিনি গুরুত্ব আরোপ করেছেন। আর সেটা হলো, এটাও নিশ্চিত করতে হবে, যেন কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বাচ্চার ইচ্ছা অগ্রাধিকার পায়। অর্থাৎ, সে যা বলবে মা–বাবা সেটাই করবে।
মুনতাহার ক্ষেত্রে বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আর এটা হতে পারে যেকোনো মা–বাবার জন্য শিক্ষা। কারণ, এমন কিছু করা যাবে না যাতে যাতে হিংসাপ্রবণ, আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। গৃহশিক্ষক, আয়া ইত্যাদি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে যেমন বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা প্রয়োজন তাদের হ্যান্ডল করার ক্ষেত্রে, তাদের রাখা ও না–রাখার ক্ষেত্রেও একইভাবে কৌশলী হতে হবে। কারণ এখন মনে হতেই পারে, শিক্ষকের আচরণ কি খেয়াল রাখা হয়েছিল কিংবা মুনতাহা কি তার বাবা–মাকে কিছু শেয়ার করেছিল শিক্ষকের আচরণের অসঙ্গতি নিয়ে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।