লাইফস্টাইল ডেস্ক : আমাদের আশপাশে বর্তমান পরিস্থিতিতে অভিভাবকরা বাচ্চাদের নিয়ে খুব অনিরাপত্তায় ভোগেন। কারণ, বাচ্চারা যেন কারও কাছেই নিরাপদ নয়। দুর্ভাগ্যবশত বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, শিশুরা যাদের চেনেন বা বিশ্বাস করেন, তাদের কাছেই বেশি অনিরাপদ।
তাই বাচ্চাদের সুরক্ষার জন্য অভিভাবকদের উচিত বাচ্চাদের সঙ্গে এসব বিষয় আলোচনা করা এবং তাদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করা। যাতে তারা তাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া সব বিষয় অভিভাবকদের জানাতে সংকোচবোধ না করে।
ডা. জ্যাজমিন ম্যাককয়, মনোবিজ্ঞানী, যিনি নিয়মিতভাবে তার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে শিশুর বৃদ্ধি এবং প্যারেন্টিং হ্যাক সম্পর্কিত অন্তর্দৃষ্টি ভাগ করে নেওয়ার জন্য পরিচিত, কয়েকটি মৌলিক নিয়ম উল্লেখ করেছেন। যেখানে অপরিচিতদের মাধ্যমে কোনো বিপদ আসলে তা কীভাবে শিশুরা এড়িয়ে যাবে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত রয়েছে।
শিশুদের যে বিষয়গুলো জানানো উচিত-
একজন অপরিচিত ব্যক্তিকে সংজ্ঞায়িত করুন : অভিভাবকদের অবশ্যই শিশুদের কাছে পরিষ্কারভাবে সংজ্ঞায়িত করতে হবে যে একজন অপরিচিত ব্যক্তি কী, এবং কীভাবে তারা তাদের কাছ থেকে আসা বিপদকে চিহ্নিত করতে পারে।
বিশ্বস্ত প্রাপ্তবয়স্কদের সংজ্ঞায়িত করুন : যেকোনো সমস্যায় পড়লে বাড়ির বিশ্বস্ত প্রাপ্তবয়স্কদের সঙ্গে বাচ্চাদের পরিচিত করিয়ে দিন যাতে যেকোনো বিষয় তারা তাদের কাছে বলতে সংকোচবোধ না করে।
তাদের যা করা দরকার : একজন অপরিচিত লোক দেখতে যেমনই হোক না কেন, অপরিচিতদের সঙ্গে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগে তাদের সর্বদা অনুমতি চাইতে বা তাদের বিশ্বস্ত প্রাপ্তবয়স্কদের সঙ্গে পরামর্শ করতে শেখানো উচিত।
নির্দেশিকা : অপরিচিতদের কাছ থেকে কখনই খাবার গ্রহণ না করা থেকে শুরু করে কারোর বাড়ি যাওয়ার আগে বাড়ির বড়দের সঙ্গে পরামর্শ করার বিষয় নির্দেশিকা দিতে হবে। অপরিচিতদের সম্পর্কে প্রাথমিক নির্দেশিকাগুলো বাচ্চাদের কাছে তুলে ধরতে হবে।
শারীরিক সীমানা : ছোট বয়সে বাচ্চাদের ভালো স্পর্শ, খারাপ স্পর্শ এবং সম্মতির গুরুত্ব শেখানো উচিত।
বিপদে পড়লে : তাৎক্ষণিক বিপদের ক্ষেত্রে কি করতে হবে সে বিষয়েও বাচ্চাদের শেখানো উচিত।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস রিপোর্ট
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।