পৃথিবীর বাইরে জীবনের সন্ধান করার বিষয়টি বেশ চ্যালেঞ্জিং হলেও গবেষকরা সব ধরনের চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাছাড়া এ বিষয়টা নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীদের যথেষ্ট আগ্রহ আছে । প্রযুক্তি এবং জ্যোর্তিবিদ্যার যথেষ্ট অগ্রগতি হওয়ার কারণে বাইরের জগতের জীবনের লক্ষণ সম্পর্কে শীঘ্রই জানতে পারবে বিজ্ঞানীরা।
পৃথিবীর বাইরে জীবন রয়েছে এরকম লক্ষণ আবিষ্কারের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে গবেষকরা। এমনই একজন বিশেষজ্ঞ হলেন এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের সহযোগী অধ্যাপক সাশা হিঙ্কলে।
প্রফেসর হিঙ্কলে ভবিষ্যৎবাণী করেছেন যে, আমরা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দূরবর্তী গ্রহগুলোতে ভিনগ্রহের জীবন সনাক্ত করতে পারব বলে আশাবাদী। গবেষকদের একটি দলের সঙ্গে প্রফেসর হিঙ্কলে এক্সোপ্ল্যানেটের বায়ুমণ্ডল অধ্যয়ন করেছেন ।
বায়ুমন্ডল অধ্যয়ন করার জন্য এ গবেষক দল জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ ব্যবহার করছেন যা বেশ উন্নত এবং অনেক শক্তিশালী। এটি আমাদের সূর্য ছাড়া অন্য নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করতে সক্ষম ।
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ বাতাসে অক্সিজেন, মিথেন বা কার্বন ডাই অক্সাইডের মত গ্যাসের চিহ্ন সনাক্ত করতে সক্ষম। বায়ুমণ্ডলের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করার মাধ্যমে বোঝা সম্ভব হবে যে, ওই গ্রহের জীবন্ত প্রাণীর উপস্থিতি রয়েছে নাকি নেই।
মহাবিশ্বের কোথাও না কোথাও প্রাণের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি। প্রফেসর হিঙ্কলে দ্য স্পেক্টেটরের জন্য লেখা নিবন্ধে বলেছেন যে, আমার জীবদ্দশায় বহিঃগ্রহে জীবনের শনাক্ত করা সম্ভব হবে বলে আমার বিশ্বাস । তিনি সতর্ক করে বলেন যে, এলিয়েন সংক্রান্ত কোনো কিছু খুঁজে পাওয়ার অর্থ এটা নয় যে, আমরা ইন্টেলিজেন্ট সিভিলাইজেশনের মুখোমুখি হতে যাচ্ছি।
নাসার মতে, আমাদের গ্যালাক্সিতে প্রায় ১০০ মিলিয়ন গ্রহ রয়েছে যেখানে জীবণের প্রমাণ পাওয়া যেতে পারে। কিছু বিজ্ঞানী অনুমান করেছেন যে আমরা আগামী ১০ থেকে ২০ বছরের মধ্যে হাজার হাজার পৃথিবীতে প্রাণের প্রমাণ পাব, যা মানব ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ আবিষ্কার হবে।
আলবানি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বায়োসাইকোলজিস্ট ডঃ গর্ডন গ্যালাপ যুক্তি দেন যে এলিয়েনরা হয়তো মানুষকে খুব ভয় পায়, যারা “বিপজ্জনক, হিংসাত্মক এবং অবিরাম রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এবং যুদ্ধে নিয়োজিত”। তিনি পরামর্শ দেন যে এলিয়েনরা ইতিমধ্যে আমাদের খুঁজে পেয়েছে এবং আমাদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ বা শোষিত হওয়ার ভয়ে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।