জুমবাংলা ডেস্ক : আজ রোদের দেখা মিললেও দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘন কুয়াশায় ছেয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া বিভিন্ন জেলায় শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এ সময়ে সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
পূর্বাভাসে বলা হয়, সারা দেশে সকালের দিকে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, রাজশাহী, নওগাঁ, দিনাজপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বিস্তার লাভ করতে পারে। এ সময় সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থা করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।
আজ রোববার (২১ জানুয়ারি) দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জেলার আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ১০.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর আগে শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত প্রচণ্ড ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে এই অঞ্চলে।
আবহাওয়া অফিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিমশীতল বাতাস। এ সময় কনকনে শীত অনুভূত হয়। এ মাসের শেষের দিকে তাপমাত্রা আরও কমে আসবে।
এদিকে কনকনে শীতে খেটে খাওয়া মানুষের চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে কৃষি শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে নিম্ন আয়ের মানুষদের দুর্ভোগ বেড়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।