জুমবাংলা ডেস্ক : দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে মাদক ব্যবসায়ীকে ধরতে এসে জনরোষের শিকার হয়েছে পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া পুলিশ ফাঁড়ির দুই পুলিশ সদস্য।
শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে অন্য থানা এলাকায় এসে অভিযান চালানোর অভিযোগে ওই দুই পুলিশ সদস্য যথাক্রমে এএসআই জুয়েল হাসান ও কনস্টেবল শরিফুল পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে।
পাশাপাশি মাদক ব্যবসায়ী মাসুদ রানাকে আটক করে তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, পার্বতীপুর থানার বড়পুকুরিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই জুয়েল হাসান ও কনস্টেবল গত সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টায় ফুলবাড়ী পৌর এলাকার এমআর অটোজ গ্যারেজে সাদা পোশাকে এসে মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে গ্যারেজের মালিক মাসুদ রানাকে আটকের চেষ্টা করে। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসে এবং অজ্ঞাত লোক ভেবে দুই পুলিশ সদস্য জনরোষের শিকার হয় ও তাদের আটক করে। পরে ফুলবাড়ী থানা পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ওই দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ফুলবাড়ী মোটরসাইকেল মেকার্স ইউনিয়নের সভাপতি মো. খোরশেদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক মানিক প্রসাদ ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মাসুদ রানা ও তার পরিবারকে নানাভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি দেয়া হচ্ছে। এমবতাবস্থায় মাসুদ রানা ও তার পরিবারসহ গ্যারেজের অন্য শ্রমিকরা অনিরাপত্তায় রয়েছেন বলেও অভিযোগে দাবি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানান, দুই পুলিশ সদস্য গোপন সোর্সের ভিত্তিতেই সেখানে অভিযান চালাতে গিয়েছিল।
তিনি জানান, পরিবার ও স্থানীয়রা স্বীকার করেন মাসুদ রানা একজন মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে আরও তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতেই মাসুদ রানাকে আটক করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে। পাশাপাশি কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে এক থানা থেকে অন্য থানায় এসে অভিযান পরিচালনার জন্য শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে দিনাজপুর পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। সূত্র : যুগান্তর
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



