ব্রেক্সিট পিছিয়ে দিতে রাজি না হলে বরিস জনসনের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এমপিরা। এতে তাকে কারাগারেও যেতে পারে বলে সতর্ক করেছে আইনজ্ঞরা।
বিবিসি জানায়, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন যদি ব্রেক্সিট পিছিয়ে দিতে রাজি না হন, তাহলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন এমপিরা। এদের মধ্যে বরখাস্ত হওয়া ক্ষমতাসীন দলে এমপিরাও রয়েছেন।
চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিট এড়াতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে সময় বাড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে দায়িত্ব দিয়ে একটি বিল রানির অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে।
আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে ব্রিটেনের।
একাধিক পার্টির এমপিদের সমর্থনে আনা বিলে বলা হয়েছে, অক্টোবরের মধ্যে যদি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে একটি চুক্তির ব্যাপারে পার্লামেন্ট সম্মত না হয়, তাহলে ব্রেক্সিট কার্যকর করার জন্য ২০২০ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীকে সময় চাইতে হবে।
তবে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ব্রেক্সিট পিছিয়ে দিতে বলার চেয়ে বরং তিনি খাদে পড়ে মারা যেতে চান।
চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিট এড়াতে পাস হওয়া আইনটির বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে দরকার হলে আদালতে লড়াই করার জন্য আইন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি দল গঠন করেছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বিরোধী আর বিদ্রোহী সদস্যরা।
আইন বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়ে বলছেন, নতুন আইনটি মানতে অস্বীকার করলে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে কারাগারে যেতে হতে পারে।
এদিকে ব্রেক্সিট বিতর্কে নিয়োগ ও অবসর বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাম্বার রাড মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছে। তিনি বলেছেন, তিনি আর বিশ্বাস করতে পারছেন না যে, একটি চুক্তির মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসা সরকারের প্রধান লক্ষ্য।
এর আগে মঙ্গলবার যে ২২ জন টোরি এমপিকে বরখাস্ত করা হয়েছে, সেটি সভ্যতা এবং গণতন্ত্রের ওপর আঘাত বলেও মন্তব্য করেছেন সদ্য পদত্যাগী এই মন্ত্রী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।