জুমবাংলা ডেস্ক: দেরিতে হলেও ভোলার মেঘনায় ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। এতে হাসি ফুটেছে জেলেদের মুখে। ব্যস্ততা বেড়েছে জেলেপাড়ায়। সরগরম হয়ে উঠেছে জেলার সব মাছের আড়ৎ।
তবে যে মুহূর্তে ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা চলে এসছে সেই মুহূর্তে ইলিশের দেখা মেলায় দুশ্চিন্তাও দেখা দিয়েছে জেলেদের মধ্যে। তবুও বিগত দিনের ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন তারা।
জেলার কুলাতলী, ইলিশা, জোড়খাল ও ভোলার খালসহ বিভিন্ন ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, নদীতে শত শত নৌকা, ট্রলার নিয়ে জেলেরা নেমে পড়েছে ইলিশ শিকারে। কারও যেন বসে থাকার সময় নেই। কেউ আবার জাল বুনছেন নৌকাতে বসেই।
ঘাটগুলোতে পাইকার, আড়ৎদার ও জেলেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ ইলিশ কেনা-বেচা করছেন, কেউ বরফ দিচ্ছেন, কেউ বা ব্যস্ত মাছ প্যাকেট করা নিয়ে। মৎস্যজীবীদের হাঁক-ডাকে মুখরিত আড়ৎগুলো। দীর্ঘদিন পর সরগরম হয়ে উঠেছে আড়ৎগুলো।
তুলাতলী ঘাটের আড়ৎদার মো. আজাদ বলেন, ‘নদীতে এখন ভালোই মাছ পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের এ ঘাটে এখন প্রতিদিন গড়ে ৫-৭ লাখ টাকার মাছের কেনাবেচা হচ্ছে।’
জেলে রহিম বলেন, ‘এবার ভরা মৌসুমে আমরা মাছ পাইনি। গত ৩-৪ দিন ধরে নদীতে ইলিশ ধরা পড়ছে। দামও ভালো পাচ্ছি। এ অবস্থা আরও কিছুদিন থাকলে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারর।’
কয়েকজন জেলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মার্চ-এপ্রিল দুই মাস নদীতে মাছ ধরা বন্ধ থাকার পর চার মাস তাদের কষ্টে দিন কাটাতে হয়েছে। তাই অনেকেই দেনায় জর্জরিত। এখন নদীতে ইলিশ ধরা পড়ায় তারা নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর চিন্তা করছেন।
তবে অনেক জেলে বলছেন, যে মুহূর্তে মাছ ধরা পড়লো তাতে নিষেধাজ্ঞার সময়ও চলে এসেছে। বাজার দাম ভালো থাকলে লোকসান কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন, না হলে আবারও ধার-দেনা করে চলতে হবে।
এ ব্যাপারে ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা ওবায়দুল্লাহ বলেন, নদীতে এখন প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে, এতে জেলেরা খুশি। এতদিন বৃষ্টিপাত না থাকা এবং নদীতে পানির গভীরতা কম থাকায় মাছ ধরা পড়েনি। এখন কয়েকদিন ধরে বৃষ্টিপাত হওয়ায় পানি বেড়েছে, তাই সাগর থেকে ইলিশ চলে এসেছে। আশা করা যায়, জেলেরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।