জুমবাংলা ডেস্ক : শৈলকুপায় দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে লিয়াকত আলী বল্টু নামে একজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছে অন্তত ৬ জন। উপজেলা শহরের কবিরপুর এলাকায় বুধবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
অপরদিকে রাজশাহীর আড়ানী পৌরসভা আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পথসভায় গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী ও অপর প্রার্থী আলমগীর হোসেন খান বাবুর সর্মথকরা কবিরপুর এলাকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় প্রতিপক্ষের অস্ত্রের আঘাতে আহত হন প্রার্থী শওকত আলীর ভাই স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত আলী বল্টু। কুষ্টিয়া হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. তাপস কুমার সরকার জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। লিয়াকতকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
এ ঘটনায় পরে এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। আইনশৃংখলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। রাত ১১ টার দিকে পুলিশ সুপার মো. মুনতাসিরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। নিহত লিয়াকত আলী বল্টু ১৩নং উমেদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
শওকত আলীর সমর্থক নজরুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের একপর্যায়ে লিয়াকত আলী বল্টু গলির ভেতর পড়ে যান। এসময় আলমগীর হোসেন বাবুর সমর্থকরা তাকে কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
রাজশাহীতে গুলি ও বোমা হামলা: রাজশাহীর আড়ানী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তার আলীর সমর্থকরা ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে। আড়ানী পৌর সদরের তালতলা বাজারে বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় আওয়ামী লীগ মেয়রপ্রার্থী শহিদুজ্জামান শাহিদের পথসভায় গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরা। এসময় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী ও ব্যক্তিগত কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এছাড়া তালতলা বাজারে শতাধিক দোকানপাট ভাঙচুর ও লুট হয়েছে। মুক্তারের সমর্থকদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহিদের ভাগ্নে তুষার (২৮) আহত হয়েছেন। তালতলা বাজার এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় আবারও রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
এর আগে ৮ জানুয়ারি মুক্তারের সমর্থকরা মাছরাঙা টেলিভিশন রাজশাহীর ক্যামেরাপারসন মাহফুজুর রহমান রুবেল এবং দীপ্ত টিভির ক্যামেরাপারসন রফিকুল ইসলামের ওপর হামলা চালায়।
রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন বলেন, যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। সূত্র : যুগান্তর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।