জুমবাংলা ডেস্ক : বৃদ্ধকালে পুত্রবধূ ও পুত্র দেখভাল না করায় শ্বশুর-শাশুড়িকে খুব কষ্টে দিন পার করতে হয়। আবার অনেকেই শ্বশুর-শাশুড়িকে বোঝা মনে করায় বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই পৃথক হয়ে যায়।
ফলে না খেয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে চলে অনেকের জীবন। অসুস্থ হয়ে ঘরে পড়ে থাকলে দুর্ভোগের সীমা থাকে না শেষ জীবনে। অপরদিকে পুত্রবধূর অত্যাচারে অনেক শ্বশুর-শাশুড়িকে বৃদ্ধকাল কাটাতে হয় বৃদ্ধাশ্রমে।
বর্তমান সমাজে সিংহভাগ শ্বশুর-শাশুড়ি অবহেলিত। পুত্রবধূ শ্বশুর-শাশুড়িকে নিজের বাবা-মায়ের মতো মেনে না নেওয়ায় পরিবারে ঝগড়া ও অশান্তি লেগেই থাকে। আবার অপরদিকে কিছু শ্বশুর-শাশুড়ি তার ছেলের বউকে নিজের মেয়ের মতো সহ্য করতে না পারায় বাড়িতে বউ-শাশুড়ির যুদ্ধ লেগেই থাকে। এতে পরিবারে শান্তি ফিরে আসে না।
তাই প্রতিটি পরিবারে শান্তি ফেরাতে শ্বশুর-শাশুড়ির সেবা করলেই উপহার পাচ্ছেন পুত্রবধূরা। এমন ব্যতিক্রম উদ্যোগ নিয়েছেন টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেন। তিনি নিজে বাড়ি বাড়ি গিয়ে উপহার পৌঁছে দিচ্ছেন পুত্রবধূদের হাতে।
এমন ব্যতিক্রম উদ্যোগের জন্য অসংখ্য মানুষ মোশারফ হোসেনকে মোবাইল ফোনে উৎসাহ অভিনন্দন জানাচ্ছেন।
টাঙ্গাইল সদর থানা গেটের সামনে সম্প্রতি ওসি মীর মোশারফ হোসেন দুটি ফেস্টুন লাগিয়েছেন। তাতে লেখা রয়েছে- ‘বৃদ্ধাশ্রম নয়, পরিবারই হোক বাবা-মায়ের নিরাপদ আবাস। পুত্রবধূ যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে তার শ্বশুর-শাশুড়ির খেদমত করে আল্লাহ তাকে আখিরাতে পুরস্কার প্রদান করবেন। শ্বশুর-শাশুড়িকে যে সেবা করবে এবং একসঙ্গে বসবাস করবে সেই ভাগ্যবতীকে পুরস্কৃত করা হবে।’
পুরস্কার গ্রহণের জন্য তার মোবাইল নম্বরও দেওয়া আছে সেখানে।
জানা যায়, বুধবার বিকাল পর্যন্ত গত দুই দিনে সদর উপজেলার সাবালিয়া এলাকার তামান্না জাহান মিতু, পারভিন খান, থানাপাড়া এলাকার মির্জা সায়মা, আদি টাঙ্গাইলের সৈয়দ সুমাইয়া পারভিন, আকুরটাকুরপাড়া এলাকার মাহমুদা রহমান ও উম্মে সাদিকা, কলেজপাড়ার শিউলি আক্তারসহ আটজনকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। পুরস্কার হিসেবে তিনি দিচ্ছেন টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি, পোড়াবাড়ির চমচম ও ক্রেস্ট। সেই সঙ্গে পরিবারকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।