এই বিশ্বকাপে যে মাশরাফিকে দেখা যাচ্ছে, সেটা যেন মাশরাফির ‘ছায়া’। যার সাথে তার, মেধা, মান, জাত-পাতের কোনই মিল নেই।
৭ ম্যাচে নামের পাশে একটি মাত্র উইকেট। তারচেয়ে বড় কথা, ওই সাত ম্যাচে একবার মাত্র ১০ ওভারের কোটা পূর্ণ করতে পারা। মাঠে তার নড়াচড়াও তুলনামুলক কম। শরীরি অভিব্যক্তিতেও অন্য সময়ের মত চপলতা, ক্ষিপ্রতা নেই। কেমন যেন একটা নিষ্পৃহতা।
সেটা কেন? আসলে মাশরাফি শতভাগ সুস্থ নন। সবাই জানেন হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি নিয়েই খেলছেন। তবে সেটা কোন মাত্রার হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি? সেটা গ্রেড ‘টু’। যা নিয়ে খেলছেন বিশ্বকাপে। তার জীবনের শেষ বিশ্বকাপ।
এমন ইনজুরি নিয়ে বিশ্বকাপ খেলার প্রশ্নই আসে না। এরকম ইনজুরির প্রথম চিকিৎসা হচ্ছে অন্তত তিন সপ্তাহ পূর্ণ বিশ্রাম; কিন্তু মাশরাফি আর তা নিতে পারলেন কই? ওই যে ইনজুরি নিয়ে খেলার কারণে প্র্যাকটিসেও তাকে কম দেখা যাচ্ছে।
বিশ্বকাপে এটাই শেষ ম্যাচ বাংলাদেশের। সেমিফাইনালে উঠতে না পারার কারণে লর্ডসে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটা টাইগারদের জন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে নিয়মরক্ষার ম্যাচ হিসেবে। তবে শুধু বাংলাদেশের জন্যই নয়, এই ম্যাচটা টাইগারদের দলনেতা মাশরাফি বিন মর্তুজার জন্যও হয়ে দাঁড়িয়েছে তার বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ হিসেবে।
বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগেই মিরপুরে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি সরাসরি জানিয়ে দিয়েছিলেন, এটাই তার শেষ বিশ্বকাপ। সে হিসেবে পাকিস্তানের বিপক্ষে এই ম্যাচটি মাশরাফির ক্যারিয়ারেরই শেষ ম্যাচ। শুক্রবার শেষবারের মতো বিশ্বকাপে টস করতে নামবেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।
কিন্তু কি আশ্চর্য্য, বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারে শেষ ম্যাচের আগে যখন মাশরাফিকে নিয়ে সবার আগ্রহ তুঙ্গে, তখন তিনিই কি না কেমন যেন নির্লিপ্ত। যখন মিডিয়াগুলো মাশরাফিকে নিয়ে প্রশ্নের পর প্রশ্নের মালা সাজিয়ে প্রি-ম্যাচ প্রেস কনফারেন্সে গেল, তখন সেখানে আসলেনই না মাশরাফি। এমনকি সংবাদ সম্মেলনের আগে অনুশীলনেও হাজির হলেন না তিনি।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফির পরিবর্তে কথা বলতে এলেন দলীয় কোচ স্টিভ রোডস। তিনিই দলের পরিকল্পনার কথা জানান এবং সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।