Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home সঞ্চয়পত্র না কিনে ভেঙে খাচ্ছে মানুষ
অর্থনীতি-ব্যবসা

সঞ্চয়পত্র না কিনে ভেঙে খাচ্ছে মানুষ

Saiful IslamJuly 11, 20244 Mins Read
Advertisement

জুমবাংলা ডেস্ক : দুই পয়সা সঞ্চয় করে সঞ্চয়পত্র কিনে মুনাফার টাকায় নির্ভর যাঁরা করেন, তাঁদের স্বস্তি নেই। একদিকে বাজারে পণ্যমূল্য লাগামহীন। অস্বাভাবিক এই মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষ মুনাফা পাচ্ছে কম। আবার সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করতে সরকার নানা কড়াকড়িও দিয়েছে। সব মিলিয়ে সঞ্চয়পত্র কেনা কমিয়ে দিয়েছে মানুষ। বরং পুরোনা সঞ্চয়পত্র ভেঙে খেতে হচ্ছে অনেকের।

গত ৯ মাস ধরে সঞ্চয়পত্র বিক্রির চেয়ে আগের আসল-সুদ বাবদ সরকারকে বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে। গত ১১ মাসে ঋণাত্মক স্থিতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৭৪২ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সঞ্চয়পত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, কড়াকড়ি শর্ত আরোপের কারণেই সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এ ছাড়া উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে সাধারণ মানুষ খুব বেশি মুনাফা পাচ্ছে না। এটাও সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমার বড় কারণ।

তথ্য-উপাত্ত বলছে, জিনিসপত্রের উচ্চ দামের কারণে মধ্যবিত্তের প্রায় নাভিশ্বাস অবস্থা। আয় না বাড়লেও বাজার থেকে বেশি দাম দিয়ে সব ধরনের নিত্যপণ্য কিনতে হচ্ছে তাদের। তাতে দেখা যাচ্ছে, পণ্যের উচ্চ দামের ফলে সৃষ্ট উচ্চ মূল্যস্ফীতি আর সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ থেকে পাওয়া সুদের মধ্যে খুব বেশি ফারাক থাকছে না। সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ থেকে করসহ ১১ শতাংশ সুদ পেয়ে, কর বাদ দিয়ে যা থাকে, তা চলমান মূল্যস্ফীতির প্রায় কাছাকাছি। লাভ বলে তেমন কিছু থাকে না।

সম্প্রতি প্রকাশিত বিবিএসের তথ্যে দেখা যায়, এক বছরে প্রতি মাসে গড়ে ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ মূল্যস্ফীতি ছিল। বাস্তবে এর হার আরও অনেক বেশি। তাই সঞ্চয়পত্র থেকে পাওয়া লাভ দিয়ে খরচই মিটছে না মানুষের। যার প্রভাব পড়েছে সঞ্চয়পত্র বিনিয়োগে। দেখা যাচ্ছে, মানুষ বিনিয়োগ তো করছেই না, বরং আরও কমছে। অর্থাৎ সঞ্চয়পত্র ভেঙে খাচ্ছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, সদ্য বিদায়ী অর্থবছরের মে মাসে সঞ্চয়পত্র নিট বিক্রি ঋণাত্মক হয়েছে ৩ হাজার ৯৪ কোটি ৭১ লাখ টাকা। অর্থাৎ বিক্রির চেয়ে আগের আসল ও সুদ বাবদ ৩ হাজার ৯৪ কোটি ৭১ লাখ টাকা বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে সরকারকে। মানুষ নতুন বিনিয়োগ তো করছেই না বরং আগের সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগও নবায়ন না করে ভেঙে ফেলছে। যার ফলে এর পেছনে সরকারের খরচ বেড়েছে।

তবে ২০২২-২৩ অর্থবছরের মে মাসে সঞ্চয়পত্র নিট বিক্রির ধারা ইতিবাচক ছিল। ওই সময় সুদ-আসল পরিশোধ করেও ৫৫১ কোটি টাকা ইতিবাচক ছিল।

তথ্য-উপাত্ত বলছে, বিদায়ী অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) সঞ্চয়পত্র নিট বিক্রি ঋণাত্মক ধারায় হয়েছে। অর্থাৎ গত ১১ মাসে আগের আসল ও সুদ বাবদ ১৭ হাজার ৭৪২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে।

প্রতিবেদন বলছে, বিদায়ী অর্থবছরের প্রথম দুই মাস (জুলাই-আগস্ট) সঞ্চয়পত্র নিট বিক্রি ৫ হাজার ৫৬২ কোটি টাকা ইতিবাচক ছিল। তবে এরপর থেকে নিট বিক্রি ঋণাত্মক হতে থাকে। সেপ্টেম্বরে ঋণাত্মক হয় ১৪৭ কোটি, অক্টোবরে ১ হাজার ৪০ কোটি, নভেম্বরে ১ হাজার ৫৫৪ কোটি, ডিসেম্বরে ২ হাজার ২০৪ কোটি, জানুয়ারিতে ১ হাজার ২৮৭ কোটি, ফেব্রুয়ারিতে ১ হাজার ৫৪১ কোটি এবং মার্চে ঋণাত্মক ছিল ৩ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকা।

বিদ্যমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে সরকারও সঞ্চয়পত্র থেকে কম ঋণের পরিকল্পনা করেছিল। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে সরকারের নিট ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১৮ হাজার কোটি টাকা। আগের ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৫ হাজার কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ৩২ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছিল। ওই অর্থবছরের শেষে নিট বিক্রি ঋণাত্মক হয়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা।

জানা যায়, ব্যাংকে প্রতিযোগিতামূলক সুদের হারের পাশাপাশি উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের খরচ বেড়ে যাওয়ায় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ কমতে পারে ধরে নিয়েই সরকার চলতি অর্থবছরেও এ খাত থেকে রক্ষণশীল ঋণের পরিকল্পনা করেছে। এ অর্থবছরে সরকার সঞ্চয়পত্র থেকে লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা করেছে।

সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমার কারণ বলতে গিয়ে খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা ছাড়াও সঞ্চয়পত্রের সুদের হার স্থির থাকা, আবার ওই সুদের ওপর উচ্চ করারোপ এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতি। কঠোর মুদ্রানীতির কারণে ব্যাংকে আমানতের সুদের হার বেড়েছে। এর ফলে সেখানে সহজে বিনিয়োগ ও বেশি মুনাফা পাওয়ার কারণে বিনিয়োগ স্থানান্তরিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এখন মানুষ সঞ্চয়পত্র কম কিনছে। আর সুদের হার কমানোর কারণে ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছেন অনেকে। আবার ব্যাংকের সুদের হার বেড়েছে। এখন সঞ্চয়পত্রের চেয়ে ব্যাংকের সুদের হার বেশি। এ জন্য সঞ্চয়পত্রে মেয়াদ শেষে তারা আর নতুন করে কিনতে আগ্রহ পাচ্ছেন না। যার ফলে সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে ধাক্কা লেগেছে।’

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
অর্থনীতি-ব্যবসা কিনে খাচ্ছে, না ভেঙে মানুষ সঞ্চয়পত্র,
Related Posts
সবজির দাম

ভরা মৌসুম, তবুও সবজির দামে নেই স্বস্তি

December 20, 2025
taka

যেখানে বিনিয়োগে টাকাও নিরাপদ থাকে, মুনাফাও পাওয়া যাচ্ছে ব্যাংকের চেয়ে বেশি

December 19, 2025
গভর্নর

ধার করে নয়, রিজার্ভ নিজেদেরকেই বাড়াতে হবে : গভর্নর

December 19, 2025
Latest News
সবজির দাম

ভরা মৌসুম, তবুও সবজির দামে নেই স্বস্তি

taka

যেখানে বিনিয়োগে টাকাও নিরাপদ থাকে, মুনাফাও পাওয়া যাচ্ছে ব্যাংকের চেয়ে বেশি

গভর্নর

ধার করে নয়, রিজার্ভ নিজেদেরকেই বাড়াতে হবে : গভর্নর

দেশজুড়ে ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেলের ১৬ হাজারের বেশি কর্মীকে প্রশিক্ষণ দিল বিকাশ

সঞ্চয়পত্র

সঞ্চয়পত্রে বড় চমক, কোন ব্যাংক দিচ্ছে সবচেয়ে বেশি সুদ জেনে নিন

Brak Bank

ব্রাক ব্যাংকে কত মাসের এফডিআরে সুদের হার কত? রইল বিস্তারিত

ডাকঘর

সর্বোচ্চ মুনাফা দিচ্ছে ডাকঘর, টাকা জমা রাখার সঠিক নিয়ম

পাঁচ ব্যাংকের আমানতকারীদের অর্থ ফেরত ডিসেম্বরেই

দেশের রিজার্ভ

দেশের রিজার্ভ বেড়ে ৩২.৪৮ বিলিয়ন ডলার

স্বর্ণের দাম

২০২৬ সালেও স্বর্ণের দাম বৃদ্ধির পূর্বাভাস

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Editorial Team Info
  • Funding Information
  • Ethics Policy
  • Fact-Checking Policy
  • Correction Policy
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.