কক্সবাজারের চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী-লামা সড়ক দীর্ঘদিন ধরেই ডাকাতদের দখলে। প্রতিদিন সন্ধ্যা নামলেই যাত্রীবাহী যানবাহনে ডাকাতি হতো, যাত্রীরা হতবিহ্বল। সেই আতঙ্কের অন্ত এবার: তিনদিন আগে সংঘটিত এক ভয়ঙ্কর ডাকাতির পর স্থানীয় চকরিয়া থানা পুলিশের টানা অভিযান শেষে গহীন জঙ্গলে অভিযান চালিয়ে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় উদ্ধার হয়েছে দেশীয় তৈরি দুটি বন্দুক, কার্তুজ ও পাঁচটি ধারালো রামদা।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ও বুধবার চকরিয়ার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের পাহাড়ি জনপদে বিশেষ অভিযান চালিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে পাঁচজন সন্দেহভাজন ডাকাত। তাদের মধ্যে আছেন—চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উচিতারবিল মুসলিমনগর গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে আবুল কালাম (২৪), নজরুল ইসলামের ছেলে মোবারক আলী (২৫), ফতিয়াঘোনা এলাকার শফর মুল্লুকের ছেলে মোহাম্মদ ফারুক (২৭), একই এলাকার ফয়েজ আহমদের ছেলে জিসান (২৩) ও বার্মাইয়া গ্রামের জসিম উদ্দিন (২৫)।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ফাঁসিয়াখালী রিংভং ফরেস্ট বিট থেকে কুমারী ব্রিজ পর্যন্ত পাহাড়ি এলাকা দীর্ঘদিন ধরেই ডাকাতদের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত। প্রতিদিন সন্ধ্যা নামলেই বা নির্জন সময়ে যাত্রীবাহী গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে অস্ত্রের মুখে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন এবং স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নিত ডাকাতরা।
পুলিশ জানিয়েছে, গত রোববার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে ওই এলাকায় যাত্রীবাহী একটি পিকআপভ্যান থামিয়ে ডাকাত দল যাত্রীদের থেকে মোবাইল ফোন, স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনার পর পুলিশ তৎপর হয়ে মঙ্গলবার ও বুধবার দুই দিন ধরে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের গহীন জঙ্গলে অভিযান চালিয়ে ডাকাত চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। তাদের হেফাজত থেকে উদ্ধার হয় দেশীয় তৈরি দুটি বন্দুক, কার্তুজ, পাঁচটি ধারালো রামদা, রশি, মুখোশসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত অন্যান্য সরঞ্জাম।
চকরিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার জানান, “চকরিয়া-লামা সড়কটি পাহাড়ি ও বনাঞ্চল ঘেঁষা হওয়ায় ডাকাতরা সুযোগ নিত। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত টহল জোরদার করা হচ্ছে। গত রোববার রাতে সংঘটিত ডাকাতির ঘটনার পরই অভিযান শুরু হয়, যার ফলে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং উদ্ধার হওয়া অস্ত্রসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।