আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফের স্বমহিমায় খাপ পঞ্চায়েত। রাজস্থানের ভিলওয়ারা জেলার এক ২৪ বছরের গৃহবধূকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করল এলাকার খাপ পঞ্চায়েত। কারণ জানলে অবাক হবেন। ওই গৃহবধূ সতীত্ব পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে গিয়েছিল তার অতীত। একসময়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন ওই তরুণী। সতীত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় তার উপরে শুরু হয় চরম অত্য়াচার। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন ও খাপ পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে বাগোর থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন ওই গৃহবধূ। বাগোর থানার আইসি আয়ূব খান সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ২৪ বছরের ওই তরুণীর এ বছর মে মাসে বিয়ে হয় বাগোরায়। বিয়ের পর ওই তরুণীকে ভার্জিনিটি টেস্ট করাতে বাধ্য করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এনিয়ে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই তরুণী।
তদন্তে উঠে এসেছে, বিয়ের আগে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে তার প্রতিবেশি এক যুবক। বিয়ের পর ওই খবর পাওয়ার পর তরুণীর স্বামী ও শাশুড়ি তাকে বেধড়ক মারধর করে। এরপরই পুত্রবধূর বিচারের জন্য একটি খাপ পঞ্চায়েত ডাকা হয় এলাকার ভাদুমাতা মন্দিরে। পঞ্চায়েত কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পরেনি। পরে ফের পঞ্চায়েত বসানো হয় গত ৩১ মে। তারপরই ওই তরুণীর উপরে ওই ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
ওই তরুণী একটি ভিডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। সেখানে ওই তরুণী জানিয়েছেন, সতীত্ব পরীক্ষার ‘কুকদি’ টেস্টে আমি ব্যর্থ হই। তারপর বাড়িতে অনেক রাত পর্য়ন্ত এনিয়ে পরিবারের লোকজনের মধ্যে আলোচনা হয়। ভয়ে কিছু বলতে পারিনি। কিন্তু সেই রাতেই আমাকে প্রবল মারধর করে আমার স্বামী ও তার আত্মীয়রা।
তরুণীর পরিবার সূত্রে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ওই তরুণীর বিয়ের আগে ধর্ষণের বিষয়টি তার স্বামীর পরিবারের লোকজন আগে থেকেই জানতো। তারপরেও কেন তার বিরুদ্ধে খাপ পঞ্চায়েত বসানো হল তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। এনিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।