লাইফস্টাইল ডেস্ক : ব্যক্তিগত সমস্যায় জর্জরিত হয়ে মানুষ যখন কোনো পথ খুঁজে পান না, তখন বিশেষজ্ঞরাই ভরসার জায়গা হয়ে ওঠেন। তেমনই একজনের এক সমস্যার কথা শুনে সমাধানের পথ দেখানোর চেষ্টা করেছেন বিশেষজ্ঞ।
প্রশ্ন : বেশ কয়েকটা মেয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্কে গড়ে উঠেছিল। কিন্তু প্রতিটা সম্পর্ক বাজেভাবে ভেঙে যায়।
এভাবে ধীরে ধীরে সম্পর্কের প্রতি আমার অবিশ্বাস তৈরি হয়। আমার সন্দেহ সত্যিকার ভালোবাসা বলতে আসলেও কিছু আছে নাকি। কিংবা এটা সত্যিকার অর্থেই ক্ষণস্থায়ী বিষয়? এসব সম্পর্কে আমার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে এবং মিথ্যাচার করা হয়। আমি কেন তাহলে সম্পর্কে জড়াবো?
বিশেষজ্ঞের উত্তর : মুম্বাইয়ের কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট এবং ড্যান্স মুভমেন্ট থেরাপি প্র্যাকটিশনার জানখানা জোশি বলেন, আসলে আমি যতগুলো মানুষকে সমস্যা নিয়ে আসতে দেখেছি তাদের মধ্যে একটি বিষয় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে। প্রিয়জনের কাছ থেকে বা আস্থাভাজন কারো কাছ থেকে পাওয়া মানসিক আঘাতই তাদের কাল হয়ে ওঠে। এসব আঘাত একের পর এক আসতে থাকলে হৃদয়ভাঙা, অবিশ্বাস চলে আসা, সম্পর্ক গড়ার ইচ্ছে মরে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে।
আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোমান্টিসিজমে ভেসে সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে চাই। সেখানে অনেক সময়ই বাস্তবতার চেয়ে কল্পনাই বেশি থাকে। তবে হ্যাঁ, বাস্তবে মানুষ স্বার্থপর, প্রতারক এবং অনৈতিক হয়ে ওঠে। ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্যে এমনটা করে তারা। এর বিরূপ প্রভাব পড়ে সম্পর্কের ওপর। ধীরে ধীরে নেতিবাচক অভিজ্ঞতা গড়ে ওঠে প্রেম বা ভালোবাসার প্রতি।
একবার আপনি সম্পর্কের টানাপড়েন থেকে বেরিয়ে এলে এসবের গোলযোগে পড়বেন না। আসলে সম্পর্কে জড়ানো আগে আপনার শেখা উচিত কীভাবে অন্তত নিজের ওপর বিশ্বস্ত থাকা যায়। একবার বিশ্বাস ভেঙে গেলে আর তা জোড়া লাগতে চায় না। সেখানে ক্ষত তৈরি হয়।
এখানে আপনি নিজের জীবনের যে সম্পর্কের কথা বলেছেন সেখানে বিশ্বস্ততার বিষয় কীভাবে এনেছেন তা আপনিই জানেন। একটা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসে নতুন আরেকটাতে জড়ানোর আগে অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েছেন কি?
আসলে সম্পর্ক কখনও মূল্যহীন নয়। এ বিষয়টি চিরসত্য। আপনাকে বুঝতে হবে। কিন্তু এটাকে এগিয়ে নিতে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। দুজনের ভালোর জন্যে কাজটি করবেন। সে ক্ষেত্রে সম্পর্কে বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের কাছেও আপনি ধর্না দিতে পারেন। ভালোবাসা বা প্রেম এমন এক অনুভূতি যা মানুষের মনে জন্মে। এরপর তাকে টেকাতে প্রয়োজন দুজনের অন্তিত প্রচেষ্টা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।