আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কলকাতাভিত্তিক দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন-এর এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, নেপালের পুলিশ কর্মীরা সন্তানসহ এক ভারতীয় নারীকে তুলে নিয়ে গেছে। পরবর্তীতে ভারতীয় পুলিশের হস্তক্ষেপে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার সময় নেপালি পুলিশ গুলিও চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বিহার সীমান্তে প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের পূর্ব চম্পারণ জেলার গোধাশান থানার অন্তর্গত খারসালওয়া এলাকায়। স্থানীয় সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ প্রতিদিন দাবি করেছে, শুক্রবার খারসালওয়া এলাকার বাসিন্দা ওই নারী তার সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে ভারত-নেপাল সীমান্তের কাছাকাছি জায়গায় ঘাস কাটছিলেন। আচমকা সেখানে হাজির হয় নেপাল পুলিশের কিছু কর্মী। ওই নারীকে ঘাস কাটতে বারণ করে। তবে সেই নারী তাদের কথার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, তিনি ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যেই রয়েছেন। এই কথা শুনেই ওই পুলিশকর্মীরা তাকে বেধড়ক মারধর করে। তারপর সন্তান-সহ তাকে নেপালের সীমান্তের মধ্যে থাকা পুলিশ পোস্ট তুলে নিয়ে যায়।
সংবাদ প্রতিদিন বলছে, এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিহারের খারসালওয়া এলাকার মানুষ সীমান্তের কাছে গিয়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। শুরু হয় তুমুল গন্ডগোল। পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠছে দেখে নেপালের পুলিশকর্মীরা গুলিও চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে পূর্ব চম্পারণের পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে ও সন্তান-সহ ওই নারীকে উদ্ধার করে।
এ প্রসঙ্গে পূর্ব চম্পারণের পুলিশ সুপার নবীনচন্দ্র ঝা সংবাদ প্রতিদিনকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারী ও তার সন্তানকে উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে এলাকায় প্রচণ্ড উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। কেন ওই নারীকে আটক করা হয়েছিল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।