জুমবাংলা ডেস্ক: গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদে গভীররাতে সন্দেহজনকভাবে ঘুরাঘুরি করার সময় সাখাওয়াত হোসেন মুন্না (২৩) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার (৩০ জুন) দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলা প্রাঙ্গণ থেকে পরিষদে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা তাকে আটক করেন। পরে আটকৃতকে কালীগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
অন্যদিকে, পুলিশের এক বিশেষ অভিযানে উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের উলুখোলা পাম্প সংলগ্ন এলাকা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ডাকাত দলের আরো ৬ সদস্যকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪০০ গ্রাম হেরোইন, ১২০ পিস ইয়াবা ও কিছু দেশী অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফায়েজুর রহমান বলেন, শুধু সাখাওয়াত হোসেন নয়, আমরা উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের উলুখোলা এলাকা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ডাকাত দলের আরো ৬ সদস্যকে আটক করেছি। উপজেলা পরিষদ থেকে আটক মুন্নাসহ সবার বিরুদ্ধে থানায় মাদক ও ডাকাতির প্রস্তুুতসহ দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উপজেলা পরিষদে আটককৃত সাখাওয়াত কালীগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকার বালীগাঁও পশ্চিমপাড়া গ্রামের টুকু মিয়ার ছেলে। অন্যদিকে, উলুখোলা এলাকায় আটকৃত ডাকাত দলের ৬ সদস্যরা হলো নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও উপজেলার বারদী এলাকার হাসেন আলীর ছেলে বকুল (৩৩), একই উপজেলার ধন্দির বাজার এলাকার চৌড়াপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে রাসেল (২৭), ঢাকার দক্ষিণখান আশকোনা এলাকার আবুল হাশেমের ছেলে আবু হানিফ (৪০), একই এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে আলামিন (৩৩) ও হাজী ক্যাম্প সংলগ্ন হলান গ্রামের শফিউর রহমানের ছেলে আশরাফ আলী ((৪২), নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার নবিবনগর বাজার এলাকার শোনুই গ্রামের ফিরোজ মিঞার ছেলে মাসুদ (২৮)।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আজিজুর রহমার রহমান বলেন উপজেলা পরিষদে সন্দেহজনকভাবে ঘুরাঘুরির সময় ওই যুবককে আটক করে আনসার সদস্যরা। তবে এ সময় গ্যাংয়ের আরোও কয়েকজন পালিয়ে গেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত যুবক জানায়। অভিযুক্ত মুন্নাকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।