জুমবাংলা ডেস্ক : মাদক ও চাঁদাবাজির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) চারজন ছাত্রকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার পর মধ্যরাতে মুচলেকায় মুক্তি পেল আটক শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. খালিদ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। র্যাব তাদের ছেড়ে দেওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আটক ছাত্রদের ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের এলাকা থেকে র্যাব-১৩ এর নীলফামারী সিপিসি-২-এর একটি দল ওই ৪ জন ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে আটক করে নীলফামারীতে নিয়ে যায়। এরা হলো বায়োকেমিস্ট অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের মাস্টার্সের এক শিক্ষার্থী, কৃষি অনুষদের ফাইনাল ইয়ারের শিক্ষার্থী, বিবিএর লেবেল-৪ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ও বিবিএ চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে র্যাব-১৩-এর নীলফামারী সিপিসি-২-এর কোম্পানি কমান্ডার মো. মুন্না বিশ্বাস জানান, আটকের ঘটনা জানার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. খালিদ হাসান আমাদেরও সঙ্গে কথা বলেন। যেহেতু তারা ছাত্র, আমরা সার্বিক দিক বিবেচনা করে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দিতে পারি।
এরপরে রাত ১০টায় হাবিপ্রবির সহকারী প্রক্টর ড. রবিউল আলম ও সহকারী প্রক্টর সিহাবুল ইসলাম ছাত্রদের ছাড়িয়ে আনতে নীলফামারী যান। সেখানে মুচলেকা নিয়ে ৪ শিক্ষার্থীকে সহকারী প্রক্টরদের হাতে তুলে দেন র্যাব। রাত ১২টার দিকে ওই ৪ ছাত্রকে হাবিপ্রবির ক্যাম্পাসে নিয়ে আসা হলে শিক্ষার্থীদেরও মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়।
এদিকে মুক্তি পাওয়া ইলিয়াস দেওয়ান জানান, মঙ্গলবার বিকেলে বিকেএসপি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে সাদা পোশাকে ৩ জন দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। এ সময় তাদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে হঠাৎ কোনোকিছু বুঝে ওঠার আগেই র্যাবের ২টি গাড়ি এসে আমাদের মারতে শুরু করে। একসময় আমাদেরও হাতে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে গাড়িতে তুলে নীলফামারী জেলায় র্যাব ক্যাম্পে নিয়ে যায়।
মাদক প্রসঙ্গে ইলিয়াস জানান, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। মাদকের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।