লাইফস্টাইল ডেস্ক : দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় কমবেশি সকলেই একটি বা দুটি ডিম (Egg) রেখেই থাকেন। বিশেষত যারা ডায়েট করছেন তারা তাদের শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণের জন্য মাছ-মাংসের পাশাপাশি ডিমটাও অবশ্যই রাখেন। ডিমের মধ্যে শুধু প্রোটিন ছাড়াও রয়েছেন নানা ভিটামিন এবং মিনারেলস। অনেকেই মনে করেন দিনে যত খুশি ডিম খাওয়াই যায়। কিন্তু এটা কিন্তু একেবারেই ভুল ধারণা। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
দিনে কটা ডিম খাবেন বা সপ্তাহে কটা ডিম খাবেন তার একটা নির্দিষ্ট পরিমাপ থাকা উচিত। এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ জানলে চমকে যাবেন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন সপ্তাহে কোনওমতেই বেশি ডিম খাওয়া উচিত নয়। এমনকি তারা সপ্তাহে কটা ডিম খাবেন সেটাও বেঁধে দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে সপ্তাহে কেবল ৩ থেকে ৪টি ডিম খাওয়া উচিত। কেন তারা এমন কথা বলছেন? জানলে চমকে যাবেন।
সাধারণত ডিমের রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ। শুধুমাত্র একটি ডিম শরীরের পুষ্টির ঘাটতি মিটিয়ে দিতে পারে। আবার এর দাম একেবারেই ন্যূনতম। তাই তো মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত সকলেরই পকেটের নাগালেই থাকে ডিম। একটি ডিমের মধ্যে থাকে ৬ গ্রাম প্রোটিন, ৫ গ্রাম উন্নত মানের ফ্যাটি অ্যাসিড এবং সেই সঙ্গে প্রচুর খাদ্যগুণ। একটি ডিম খেলে শরীরে কয়েক ক্যালোরি শক্তি উৎপাদিত হয়।
তবুও পুষ্টিবিদরা সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ টি ডিমের বেশি না খাওয়ারই পরামর্শ দিচ্ছেন। তার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। তার মধ্যে একটি কারণ, ডিমের মধ্যে রয়েছে ‘অ্যাভিমিন’ নামের একটি গ্লাইকো প্রোটিন। এটি চুল এবং ত্বক ও নখের গঠনে বাধা দেয়। তাই যারা অতিরিক্ত চুল পড়া, নখ ভেঙ্গে যাওয়া কিংবা ত্বকের কোনও সমস্যায় ভুগছেন, তারা বেশি ডিম না খাওয়ারই চেষ্টা করুন।
শুধু তাই নয়, ডিম আবার মস্তিষ্কের কাজের উপরেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্যের জন্য সপ্তাহে বেশি ডিম না খাওয়াই ভাল। আবার যারা প্রতিদিন খুব বেশি শরীরচর্চা বা কায়িক পরিশ্রম করছেন তারা প্রতিদিনের ডায়েটে ডিম রাখতে পারেন। কিন্তু যারা সেভাবে শারীরিক পরিশ্রম করেন না তাদের কখনও একসঙ্গে বেশি ডিম খাওয়া উচিত নয়। তারা কোনওমতেই একসঙ্গে ৪ থেকে ৬ টি ডিম খাবেন না।
তাই এবার থেকে ডিম খাওয়ার আগে অবশ্যই ভেবে দেখুন স্বাস্থ্য ভাল রাখতে গিয়ে উল্টে নিজের শরীরের কোনও ক্ষতি করছেন না তো? প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। আপনার শরীর অনুপাতে শুধু ডিম নয়, কোন খাবার কতটা পরিমাণ পাতে রাখবেন, সবটাই একটা পরিমাপ অনুযায়ী হওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে একমাত্র একজন বিশেষজ্ঞ পুষ্টিবিদই সঠিক পরামর্শ দিতে পারবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।