এক ট্রেনে পাড়ি দেওয়া যায় গোটা সাহারা। মরুর উত্তপ্ত বালি পেরিয়ে এগিয়ে গেছে রেলপথ। এ লাইনে চলে বিশ্বের সবথেকে দীর্ঘ মালবাহী ট্রেন। ট্রেনের এক মাথা থেকে অন্য মাথায় যেতে আপনার আধা ঘন্টার বেশি সময় লাগবে। ট্রেনটির নাম দেওয়া হয়েছে মৌরতানিয়ান এক্সপ্রেস।
ট্রেনের দৈঘ্য হচ্ছে ২.১ কিলোমিটার। ১৯৬৩ সাল থেকে ট্রেনটির যাত্রা শুরু হয়। ৭০৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয় ট্রেনটি। এখানে ২০ ঘন্টা সময় লেগে যায়। এ সময় ট্রেনটি ১৭ হাজার মেট্রিক টন আকরিক লোহা বহন করে। এগুলো দিয়ে তৈরি করার যাবে একটি আইফেল টাওয়ার।
সাহারা মরুভূমির সাথে অন্যতম যোগাযোগের মাধ্যম হচ্ছে এই মৌরতানিয়ান এক্সপ্রেস ট্রেন। এটি মালবাহী ট্রেন হলেও যাত্রীদের পরিবহনের সুব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবে স্থানীয়রা লোহা বহনকারী বগিতেই যাত্রা করে থাকে।
ট্রেন আসা-যাওয়ার পথে তাবু খাটিয়ে অস্থায়ী স্টেশন নির্মাণ করা হয়। মৌরতানিয়ার মাত্র ০.২ শতাংশ এলাকা আবাদযোগ্য। বাকি এলাকা বালুময়। গড় তাপমাত্রা থাকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সাহারা অঞ্চলে যারা বসবাস করে তারা খাদ্য বা রসদ সরবারের জন্য এই ট্রেনের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকে।
বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে এটাই তাদের একমাত্র সংযোগ। প্রায় সময় খরা দেখা দেয় সাহারা মরুভূমিতে। বেদুইন বা আরব জনগোষ্ঠীর একটি অংশ আশ্রয় নেয় এখানে। এখানে শহরটি আট হাজার মানুষের বসবাসের জন্য তৈরি করা হয়েছিল।
তাদের কাছে জীবনের আরেকটা নাম মৌরতানিয়ান এক্সপ্রেস। আকরিক লোহা পৌঁছে দিয়ে ট্রেনটি খালি আসে না। ওই সময় স্থানীয় অধিবাসীদের দরকারী পণ্য নিয়ে আসা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা মাছ নিয়ে ৬৫০ কিলোমিটার দূরে বিক্রি করতে যায়।
প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মৌরতানিয়া। তাদের প্রধান প্রাকৃতিক সম্পদ হচ্ছে আকরিক লোহা। আকরিক লোহা থেকে তাদের সিংহভাগ আয় হয়ে থাকে। এ ট্রেন হচ্ছে বিশ্বের সবথেকে ভারি রেলগাড়ি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।