জুমবাংলা ডেস্ক : স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সবুজ ও জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় বহুমুখী এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টা একান্তই জরুরি। তাহলেই এ চ্যালেঞ্জ আমরা যথাযথভাবে মোকাবিলা করতে পারব। আমাদের নাগরিকদেরও পরিবেশ রক্ষায় অন্যতম ভূমিকা পালন করতে হবে। বৈশ্বিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকেও স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
রবিবার (১৯ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘নগর স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের (সিটি কর্পো. এবং পৌরসভা) সবুজ ও জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলার সক্ষমতা সম্পর্কিত প্রকল্পের পরিকল্পনা, অর্থায়ন, ও বাস্তবায়ন এবং সেবা প্রদানসংক্রান্ত নির্দেশিকা’ চূড়ান্তকরণের কন্সালটেশন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় শিল্প কারখানায় কার্বন ও হেভিমেটাল নিঃসরণের ক্ষতিকর প্রভাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উন্নত বিশ্বের কার্বন নিঃসরণে বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি উন্নয়নশীল দেশসমূহ। শিল্পায়ন ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার উন্নত দেশসমূহকে উন্নতির শিখরে নিয়ে গেছে। কিন্তু এসবের যথেচ্ছ ব্যবহারে শিল্পকারখানায় কার্বন এবং হেভিমেটালের নিঃসরণ পরিবেশকে করছে দূষিত। দূষিত হচ্ছে বায়ু, মাটি ও পানি। দেখা দিচ্ছে নানা ধরনের পানিবাহিত রোগ। ঘটছে জলবায়ুগত পরিবর্তন ও বিপর্যয়। এর প্রধান ভুক্তভোগী হচ্ছে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশসমূহ। উন্নত বিশ্ব বাংলাদেশেসহ ভুক্তভোগী উন্নয়নশীল দেশসমূহকে কার্বন নিঃসরণের ফলে জলবায়ুগত প্রতিঘাত মোকাবিলায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যে অনুদান দেওয়ার কথা তা ঠিকমতো পালন করছে না।
ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য খাদ্য উৎপাদন বিরাট একটা চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, পরিবেশগত ভারসাম্য বজার রেখে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ ও পরিকল্পনা।
মন্ত্রী সবুজ ও জলবায়ুগত অভিঘাত মোকাবিলায় সবুজ বনায়ন ও বাংলাদেশের নদীসমূহ তথা পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনাকে সুসংহত, যুগোপযোগী ও পুনরুজ্জীবিত করার ওপর জোর দেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সম্মানিত অতিথি ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম, বিশ্বব্যাংকের লিড কান্ট্রি ডিরেক্টর সোলেয়মান কুলিবালি প্রমুখ।
মানসম্মত পণ্য উৎপাদনে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে : রাষ্ট্রপতি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।