জুমবাংলা ডেস্ক : বিরল ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু আরাবীর। মাত্র চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। এরই মধ্যে তার শরীরে ভর করেছে মরণব্যাধী ‘ইমিউন ডিজরেগুলেশন উইথ সিসটেমিক হাইপার ইনফ্লামেশন সিনড্রোম’। এর একমাত্র চিকিৎসা অস্তিমজ্জা প্রতিস্থাপন।
আরবী সবেমাত্র দশম বছরে পা রেখেছে। এরই মধ্যে সে এমন ব্যাধিতে আক্রান্ত। সে যন্ত্রণায় ছটছট করছে সে। আবার সুস্থ জীবনে ফিরতে চায়। তার এহেন অবস্থাতে পরিবারও দিশেহারা।
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা পৌর শহরের মোবারকপাড়ার পেয়ারী খানম ও মনির খন্দকার দম্পতির ছোট মেয়ে শিশু আরাবী। বাবা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আর মা স্কুল শিক্ষিকা।
আরাবীর বাবা-মা বলেন, বছর দুই আগেও মেয়ে পড়াশোনা করতো। পুরোপুরি সুস্থ সবল ও দূরন্ত ছিল সে। এরই মধ্যে একদিন জ্বর ওঠে। তা দীর্ঘদিন তার ওপর ভর করে থাকে। এতে দুর্বল হয়ে পড়ে আরাবীর। দেশের বিভিন্নস্থানে চিকিৎসা করিয়েও মেলেনি কোনো ফল। এমনকি রোগ শনাক্তে ব্যর্থ হয় তারা। পরে তাকে ভারতে নেয়া হয়। একবার নয়। দুইবার নয়। ছয় দফায় নেয়ার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বিরল এ রোগের উপস্থিতি মেলে আরাবীর শরীরে। চিকিৎসকরা এর একমাত্র সমাধান বলেন অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন বা বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশান।
তারা আরো বলেন, আরাবীর রোগ শনাক্তের পেছনেই তাদের ব্যয় হয়েছে অন্তত ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। এখন তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ৪০ থেকে ৬০ লাখ টাকা। চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়া আসা চিকিৎসা খরচসহ দীর্ঘ সময় সেখানে অবস্থান করতে প্রয়োজন আরো ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা খরচ হবে। সবমিলিয়ে প্রায় এক কেটি টাকার তাদের প্রয়োজন। এতো অধিক ব্যয় বহনের সাধ্য আবিরের পরিবারের নেই।
আরাবীর স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিকাশ কুমার দত্ত বলেন, আরাবী অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী। ছোট্ট শিশুর এই বিরল রোগের কথা শুনে আমি খুব মর্মাহত হয়েছি। আরাবী লেখাপড়ার পাশাপাশি আঁকতে খুব পছন্দ করতো। ক্লাসে সে ১ থেকে ২ এর মধ্যে থাকতো। শিক্ষক হিসেবে সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আমার আহ্বান, শিশু আরাবিকে বাঁচাতে আপনারা এগিয়ে আসুন। আমি তার জন্য দোয়া করি, দ্রুত সুস্থ হয়ে আবারো ফিরে আসুক স্কুলে।
আরাবীর মা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমার মেয়ে অনেক মেধাবী। সে আবারো ফিরতে চায় স্কুলে। নিয়মিত হতে চায় পড়ালেখায়। সবার সাথে হাসতে চায়। নতুন করে বাঁচতে চায়।
মেয়েকে বাঁচাতে দেশ-বিদেশের সকল ভাই-বোনদের কাছে সহযোগিতা চেয়ে বলেন, আপনাদের সামান্য কিছু টাকায় আমার ছোট্ট মেয়েটা ফিরে পাবে নতুন জীবন।
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ক্যান্সার সার্জারী বিশেষজ্ঞ সার্জন ডা. মো: একরামুল হক জোয়ার্দ্দার জানান, ইমিউন ডিজরেগুলেশন উইথ সিসটেমিক হাইপার ইনফ্লামেশন সিনড্রোম ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তির হাতে কোনো কিছুর নিয়ন্ত্রণ থাকে না। এর একমাত্র চিকিৎসা অস্তিমজ্জা প্রতিস্থাপন বা বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশান।
সহযোগিতা পাঠাবেন
বিকাশ-নগদ নম্বর ০১৯১২৯৮৮৪৩৭
যমুনা ব্যাংক দর্শনা ব্রাঞ্চ, সরদার পিয়ারি খানম, এসবি অ্যাকাউন্ট নাম্বার-১১০১০০৬৪৫৫৩৭৯,
জনতা ব্যাংক দর্শনা ব্রাঞ্চ সরদার পিয়ারী খানম অ্যাকাউন্ট নাম্বার-০১০০০৩২৫৪৯৪৭৫।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।