আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেছেন, অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় চলমান আলোচনায় পাশ্চাত্য তার দেশের ওপর আরোপিত সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে অনীহা দেখালে এই আলোচনার ইতি ঘটবে। তিনি ইরানের ইসলামি বিপ্লবের ৪৩তম বার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার তেহরানে নিযুক্ত বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের এক সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। খবর পার্সটুডে’র।
ইরানের শীর্ষ কূটনীতিক বলেন, বর্তমানে ভিয়েনায় আমেরিকা ও ইউরোপীয় দেশগুলো প্রকৃতপক্ষে একটি লিটমাস টেস্টের সম্মুখীন। তাদেরকে এখন বিশ্বের সামনে নিজেদের আসল চেহারা তুলে ধরতেই হবে। তিনি বলেন, “আমরা একটি ভালো চুক্তি স্বাক্ষরের মানসিকতা নিয়ে ভিয়েনা সংলাপে আন্তরিকতার সঙ্গে অংশগ্রহণ করেছি। আমাদের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট বার্তা ও প্রস্তাবনা পেশ করা হয়েছে।”
পশ্চিমা দেশগুলো ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি প্রত্যাহার করে পরমাণু সমঝোতায় দেয়া তাদের প্রতিশ্রুতিতে ফিরে আসতে চায় কিনা তার ওপর ভিয়েনা সংলাপের ভবিষ্যত নির্ভর করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, ইরানি জনগণ ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণ করেছে তারা যেমন সম্মানের পরিবর্তে সম্মান দিতে জানে তেমনি হুমকিকে প্রতিরোধের ভাষায় জবাব দেয়। কাজেই আলোচনার নামে ইরানি জাতিকে হুমকি দিয়ে লাভ নেই।
অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় বর্তমানে ইরানের পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের লক্ষ্যে পাঁচ জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে ইরানের সংলাপ চলছে।গত মঙ্গলবার থেকে দু’পক্ষের মধ্যে অষ্টম দফা আলোচনা আবার শুরু হয়েছে। আমেরিকাকে পরমাণু সমঝোতায় ফিরিয়ে আনা এবং ইরানের ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের লক্ষ্যে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আমেরিকা ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা স্বাক্ষর করলেও ২০১৮ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এটি থেকে বেরিয়ে গিয়ে ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের’ নীতি ঘোষণা করেন। বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার উত্তরসুরি ট্রাম্পের ওই নীতি পরিহার করে পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবে তিনি ট্রাম্পের ওই চাপ প্রয়োগের নীতিই অনুসরণ করছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।