শূন্যস্থানে সময় আলোর ওপর প্রভাব ফেলে কি না, এর চেয়ে বরং আমরা প্রশ্নটি করতে পারি, আলোর গতি সময়কে প্রভাবিত করে কি না। দুটি প্রশ্নের বিষয়বস্তু অবশ্য একই। আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতাতত্ত্ব বা থিওরি অব রিলেটিভিটি অনুযায়ী শূন্যস্থানের মধ্য দিয়ে আলো সব সময় এই গতিতে চলে।
সেটা সেকেন্ডে প্রায় ৩ লাখ কিলোমিটার বা ১ লাখ ৮৬ হাজার মাইল। এটাই পরম গতি, এর চেয়ে বেশি গতি সম্ভব নয়। কোনো বস্তু যদি আলোর গতির কাছাকাছি গতিতে চলতে থাকে, তাহলে সময় প্রভাবিত হবে।
সেই ভীষণ গতিশীল বস্তুর ভেতরে যদি তুমি থাকো, তাহলে তোমার ঘড়ি ধীরে চলবে। একে ‘টাইম ডায়ালেশন’ বলে। তুমি যদি আলোর কাছাকাছি গতিতে মহাশূন্যে কয়েক শ বছর বেয়ে আসো, তাহলে তোমার বয়স তেমন বাড়বে না। ফিরে এসে দেখবে, তোমার বন্ধুরা সবাই বুড়ো থুত্থুড়ে, আর তুমি বেশ তরুণই রয়ে গেছ। কোনো বস্তু যদি আলোর গতিতে চলে, তাহলে তার সময় থেমে যাবে আর ভর বেড়ে অসীম হয়ে যাবে।
সময় সবধরনের প্রভাবমুক্ত নয়, বিভিন্ন গতির প্রসঙ্গ-কাঠামোর সাপেক্ষে সময়ের মান আলাদা আলাদা পাওয়া যায়। সময়ের ঠিক প্রকারভেদ বলতে যা বোঝায়, তেমন কিছুর কথা জানা যায় না। তবে আপেক্ষিক সময় আছে। কিন্তু পরম সময়, যেটা অপরবর্তনশীল, তেমন সময়ের কথা আগে ভাবতেন বিজ্ঞানীরা। এখন আর এটা চলে না।
![](https://inews.zoombangla.com/wp-content/uploads/2024/03/34-5.jpg)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।