কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমান আবাসিক হলের প্রাধ্যক্ষ পদত্যাগ করেছেন গত ০৬ ফেব্রুয়ারি। প্রায় এক মাস পেরিয়ে গেলেও নিয়োগ হয়নি নতুন প্রাধ্যক্ষ। আবাসিক শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রাধ্যক্ষ না থাকায় বিভিন্ন সমস্যাগুলোও কাউকে বলতে পারছেন না। শিক্ষার্থীদের দাবি দ্রুত প্রভোস্ট নিয়োগ দেওয়া হোক।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ০৬ ফেব্রুয়ারি ‘প্রশাসনের অব্যবস্থাপনার’ কারণ দেখিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেন মজুমদার পদত্যাগ করেন। পদত্যাগ পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, ব্যক্তিগত কারণে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অব্যবস্থাপনার কারণে আমার পক্ষে হল প্রভোস্টের দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়।
বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী তাহারাতবির হোসেন পাপন মিয়াজী বলেন, বঙ্গবন্ধু হলে এমনিতেই সুযোগ সুবিধা অনেক কম, বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। খাবার সংকট, পানি সংকট, জোড়আতালি দিয়েই চলছে সবকিছু। ময়লা আবর্জনার ভাগাড় হয়ে আছে সে দিকে কারো নজর নেই। সাবেক প্রভোষ্ট এ সকল অব্যবস্থাপনার কথা উল্ল্যেখ করেই পদত্যাগ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে হলে প্রভোষ্ট নেই। বাংলাদেশে আর কোথাও এমন আছে কিনা আমার জানা নেই এ যায়গায় ব্যর্থ কুবি প্রশাসন।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ ব্যর্থতার দায় বইছে বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা মানবেতর জীবন যাপন করছে। পবিত্র রমজানেও জোড়াতালি দিয়ে চলছে হলের ডাইনিং, হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের খোঁজ নিতে আসেনি কেউ। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীদের চাওয়া একজন ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিত্বসম্পন্ন শিক্ষক হলে আসুক যার নেতৃত্বে হলের সমস্যাগুলো সমাধান হবে।
আরেক শিক্ষার্থী শরীফ উদ্দিন বলেন, আমাদের হলটি অভিভাবকহীন হয়ে আছে। এখন হলে কোনো সমস্যা হলে আমরা কার কাছে যাবো? যেহেতু রমজান মাস৷ খাবার-দাবার সহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে আমরা সরাসরি ভিসি স্যারের কাছে যেতে পারি না। যেতে পারলেও স্যার কয়দিক সামলাবেন? তাই আমরা চাই দ্রুত আমাদের হলে প্রভোস্ট নিয়োগ দেওয়া হোক।
নিয়ম অনুযায়ী হলে প্রভোস্ট না থাকা অবস্থায় আবাসিক শিক্ষকদের মধ্যে যিনি সিনিয়র তিনি প্রভোস্টের দায়িত্ব পালন করবেন। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু হলের ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্টের দায়িত্ব পালন করছেন মু. আবু বকর সিদ্দিক।
তিনি বলেন, দায়িত্ব পালনে এখনো কোনো সমস্যার সম্মুখীন হইনি। ছাত্রদের সহায়তায় সবকিছু সুন্দরভাবেই চলছে। উপাচার্য স্যার প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনে যাকে যোগ্য মনে করবেন, যাকে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনে পাশে থাকা প্রয়োজন মনে করবেন তাকেই নিয়োগ দিবেন আশা করি।
বঙ্গবন্ধু হলের আরেক আবাসিক শিক্ষক মু. আলী মুর্শেদ কাজেম বলেন, আমি এখনো কোনো সমস্যার সম্মুখীন হইনি। নিয়ম অনুযায়ী আবাসিক শিক্ষকদের মধ্যে যিনি সিনিয়র তিনি প্রভোস্টের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। আপাতত সোহেল স্যার দায়িত্ব পালন করছেন। তবে, আমি মনে করি এই হলটিতে দ্রুতই প্রভোস্ট নিয়োগ দেওয়া উচিত। কারণ, হলটি অনেক বড়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত হিসেবে প্রভোস্টের দায়িত্ব একজন পালন করছে। আমরা খুব দ্রুতই প্রভোস্ট নিয়োগ দিয়ে দিব। এছাড়া শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়াগুলো যেকোনো সময় আমার কাছে এসে বলতে পারে। আমরা সম্মিলিতভাবে সমাধানের চেষ্টা করবো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।