জুমবাংলা ডেস্ক : সমুদ্র বিজয়ের এক দশক পার হলেও কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হওয়ায় সুনীল অর্থনীতিতে পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ। পর্যাপ্ত অর্থের অভাবে গবেষণাতেও সংকট, বলছেন শিক্ষাবিদরা। এতে অভ্যন্তরীণভাবে সম্পদ ব্যবহারের পাশাপাশি রফতানিরও সুযোগ হারাচ্ছে বাংলাদেশ। টেকসই অর্থনীতি গড়ে তুলতে এ খাতের জন্য আসন্ন বাজেটে বরাদ্দ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
২০১৩ সালে স্থলভাগের মতো বঙ্গোপসাগরেও ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার এলাকায় একচ্ছত্র অধিকার নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। যা প্রাকৃতিক সম্পদ অর্জনে নতুন মাইলফলক। কিন্তু এক দশকেও কাজে লাগানো সম্ভব হয়নি বিশাল জলরাশির অজানা সম্পদ।
তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে সুনীল অর্থনীতির বর্তমান আকার দেড় ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা ২০৩০ সালে উন্নীত হবে ৩ থেকে সাড়ে ৩ ট্রিলিয়নে। অন্য দিকে বিশ্ব অর্থনীতির ৮৮ ট্রিলিয়ন ডলারের মধ্যে ২৪ ট্রিলিয়নই আসে সমুদ্র থেকে। এছাড়া ৪৫০ কোটি মানুষের ১৫ শতাংশ প্রোটিনের জোগান, ৩০ শতাংশ তেল, ৫০ শতাংশ ম্যাগনেশিয়াম, জীবন রক্ষাকারী অনেক ওষুধসহ বিভিন্ন সম্পদ আহরণ করা হয় সমুদ্র থেকেই।
পরিসংখ্যান যখন এমন, তখন সাগরের নিজস্ব সীমানায় বাংলাদেশ শুধু টুনা মাছ আহরণ করে ৭ লাখ মেট্রিক টন। যা সক্ষমতার ১ শতাংশেরও কম। খাত বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দায় নিয়ে কাজ না করায় কাঙ্ক্ষিতভাবে উপকারে আসছে না অধিকারে থাকা বিশাল সমুদ্র।
সমুদ্র বিশেষজ্ঞ এস এম আতিকুর রহমান বলেন, অন্যান্য দেশের বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত সমুদ্র থেকে নতুন কিছু আহরণের চেষ্টা চালায়। কিন্তু আমাদের দেশে এমনটা দেখা যায় না। দেশের সুনীল অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে সরকারকে আরও জোরালোভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
শিক্ষাবিদরা মনে করেন, সমুদ্র সম্পদ আহরণ ও গবেষণায় পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকলে অর্থনীতিকে বেগবান করার বিপরীতে সমৃদ্ধ এসব সম্পদ ব্যবহারে পিছিয়ে পড়বে বাংলাদেশ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান কে এম আজম চৌধুরী বলেন, পর্যাপ্ত অর্থের অভাবে গবেষণাতে জোরালোভাবে কাজ করা যাচ্ছে না। তাই সমুদ্র সম্পদ আহরণ ও গবেষণায় আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিতে হবে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য অনুসারে, বিশ্বে প্রতিবছর ৮ কোটি ৪৪ লাখ টন সামুদ্রিক খাবার আহরণ করা হয় সাগর থেকে। সঠিকভাবে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে ২০৩০ সাল নাগাদ এ খাত থেকে প্রতি বছর আড়াই লাখ কোটি ডলার আয় করতে পারবে বাংলাদেশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।