যোগাযোগ একটা ভালো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখে। এটা অগ্রগতির একটি বড় বাহনও বটে। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে চাকরির ক্ষেত্রে মালিকপক্ষ এমন লোক পছন্দ করেন যাদের মধ্যে ভালো যোগাযোগের দক্ষতা রয়েছে। যোগাযোগের অভাবে একজন গুণী লোকও সফলতা না পেতে পারে।
সুতরাং সম্পর্কের উন্নয়ন, কাজের দক্ষতাসহ নিজের যোগ্যতা বাড়ানোর পূর্ব শর্ত হলো যোগাযোগ রক্ষা করা।
যে কোনো কাজই আপনি করতে যান না কেনো অপর পক্ষের সাথে আপনার তথ্য আদান-প্রদান করতে হবে। তাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলা, নতুন কিছু শেখা বা আপনার লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য আপনাকে যোগাযোগ করতেই হবে। কাজটি কিভাবে হবে, কেনো হবে, কতো ভালো হবে সব বিষয়ে আপনার অপর পক্ষকে বুঝাতে হবে। আপনি যতো ভালোভাবে বিষয়টি তাদের বোঝাতে পারবেন আপনার সফলতার সম্ভাবনা ততো বেশি থাকবে।
আপনি যোগযোগের জন্য মেইল করতে পারেন, সরাসরি কথা বলতে বা প্রযুক্তি ব্যবহার করে কথা বলতে পারেন বা লিখতেও পারেন। যাই করুন না কেনো আপনার বিষয়টি বুঝাতে হবে। আপনি আসলে যোগাযোগ রক্ষার ক্ষেত্রে কতোটা দক্ষ সে বিষয়ে নিজেকে প্রশ্ন করুন। নিজের কাজ নিয়ে ভাবুন এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দিন-
* কর্মক্ষেত্রে লোকজনের সাথে আপনার সম্পর্ক খারাপের পিছনে কি দায়ী?
* আপনার বন্ধু এবং কলিগদের কাছ থেকে আপনি কি ধরনের প্রতিক্রিয়া পান?
* যোগাযোগ রক্ষার অভাবে কী এ ধরনের খারাপ জিনিসগুলো ঘটছে?
আপনি আসলে ঠিক কি করতে চান এবং কেনো তা হচ্ছে না তা আগে জানার চেষ্টা করুন। এরপর সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে যোগাযোগ বাড়িয়ে দিন। নিজের ভেতর পরিবর্তন আনুন। আপনার লক্ষ্য কী তা একটা খাতায় নোট আকারে লিখে ফেলুন। আপনার ফলফল কীভাবে আরো ভালো হতে পারে।
আপনি যাই ভাবেন না কেনো, স্মার্টভাবে ভাবুন। অন্যদের চেয়ে আলাদাভাবে ভাবুন। কথায় আছে ‘সঠিক লক্ষ্য নির্ধারণ করা মানে অর্ধেক কাজ হয়ে যাওয়া।’ অনেকের লক্ষ্য আজীবন স্বপ্নই থেকে যায় কারণ তারা যথাযথ পদ্ধতি অবলম্বন করে কাজ করে না।
অনেকের সাথে যোগাযোগের ফলে আপনার ভাষার উন্নতি সাধন হয়। যার ফলে আপনি চাইলে অন্যদের সাথে আরো সুন্দরভাবে কথা বলতে পারেন। যা অন্যদের কাছে ভালো লাগবে। এবং আপনিও কাকে কি বলা দরকার তা সহযেই খুঁজে পাবেন।
আপনি যদি অপ্রাসঙ্গিক কথাবার্তা বলেন কা কারোই ভালো লাগবে না। তাই অবশ্যই শব্দ ব্যবহারের পূর্বে আপনাকে ভাবতে হবে। আর অনেকের সাথে যোগাযোগের ফলে আপনি বিষয়টি সহজে করতে পারবেন। যোগাযোগ বাড়িয়ে আপনি নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে আরো বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারেন। তবে, এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার শ্রোতাদের সাথে আরো বেশি যোগাযোগ বাড়াতে হবে এবং আপনি যখন কারো থেকে শুনবেন তখন, মনযোগ দিয়ে শুনবেন।
আপনি যখন শ্রোতা, তখন অবশ্যই মনযোগ দিয়ে শোনার চেষ্টা করবেন। কারো মন পেতে হলে অবশ্যই তার কথা মনযোগ দিয়ে শুনতে হবে। আপনি সপ্তাহে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারেন, যেখানে আপনি আপনার দরকারী লোকদের কথা মনযোগ দিয়ে শুনতে পারেন।
তথ্য দেয়ার সময় একজন লোক আবেগ তাড়িত হয়ে পড়তে পারেন। তার ভয় হতে পারে বা তিনি অবাক হতে পারেন। তাই কথপোকথনের সময় নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।