প্রতিদিন বিজ্ঞানের জগতে ঘটছে নানা ঘটনা। প্রতিমুহূর্তে এগোচ্ছে পৃথিবী, বদলে যাচ্ছে অনেক কিছু। প্রকাশিত হচ্ছে নতুন গবেষণাপত্র, জানা যাচ্ছে নতুন গবেষণার কথা। কিছু বিষয় এত সুদূর প্রসারী যে এগুলোর প্রভাব বোঝা যাবে আরও অনেক পরে। এরকম নানা বিষয়, নানা ঘটনা দেখে নিন একনজরে, জেনে নিন সংক্ষেপে।
সবচেয়ে বড় মৌলিক সংখ্যার সন্ধান
গ্রেট ইন্টারনেট মার্সেন প্রাইম সার্চ বা গিম্পসের এক সদস্য ছয় বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার পর একটি নতুন মৌলিক সংখ্যা আবিষ্কার করেছেন। গত ১২ অক্টোবর এনভিডিয়ার সাবেক কর্মচারী লুক ডুরান্ট খুঁজে পেয়েছেন মৌলিক সংখ্যাটি। নতুন এই মৌলিক সংখ্যায় ৪ কোটি ১০ লাখ ২৪ হাজার ৩২০টি ডিজিট বা অঙ্ক আছে।
কেউ যদি এই বিশাল মৌলিক সংখ্যাটি খাতা কলমে লিখতে চায়, তাহলে কয়েক মাস সময় লাগবে। নতুন মৌলিক সংখ্যাটি হলো । আর সংখ্যাটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘এম১৩৬২৭৯৮৪১’। সংখ্যাটি সম্পূর্ণ পড়তে প্রতি সেকেন্ডে দুটি সংখ্যা পড়লেও প্রায় ২৩৭ দিন সময় লাগবে।
৩৬ বছর বয়সী লুক ডুরান্ট গত বছরের অক্টোবর থেকে এই অনুসন্ধানে যোগ দেন। এই সংখ্যা খোঁজার জন্য বিশ্বের ১৭টা দেশের ২৪টি ডাটা সেন্টারে থাকা হাজার হাজার গ্রাফিকস প্রসেসিং ইউনিট ব্যবহার করেছেন তিনি।
নতুন মৌলিক সংখ্যা আবিষ্কারের জন্য লুক ডুরান্টকে ৩ লাখ মার্কিন ডলার, অর্থাৎ প্রায় ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। এই পুরস্কারের অর্থ তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা স্কুল অব ম্যাথেমেটিকস অ্যান্ড সায়েন্সের গণিত বিভাগে দান করবেন।
মেক্সিকোর জঙ্গলে হারানো শহরের সন্ধান
আধুনিক লেজারের মাধ্যমে মেক্সিকোর ইউকাটান উপদ্বীপের জঙ্গলে শতাব্দী প্রাচীন মায়া সভ্যতার অবিশ্বাস্য এক শহর আবিষ্কৃত হয়েছে। এই শহরে প্রায় ৬ হাজার ৬৭৪টি অবকাঠামো ছিল, যা প্রায় ১৫০০ বছর আগের। অবকাঠামোগুলোর মধ্যে রয়েছে চিচেন ইত্জা ও তিকালের মতো পিরামিড। গত ২৯ অক্টোবর প্রত্নতত্ত্ববিষয়ক অ্যাকাডেমিক জার্নাল অ্যান্টিকুইটিতে এ সংক্রান্ত গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়।
গবেষকেরা জায়গাটির মানচিত্র তৈরিতে আগের একটি গবেষণার লাইট ডিটেকশন অ্যান্ড রানজিং (লিডার) ম্যাপ ব্যবহার করেছেন। এই পদ্ধতিতে একটি লেজারের আলোকে কোনো বস্তুর ওপর ফেলা হয়। প্রতিফলিত আলোর ফিরে আসতে যে সময় লাগে, তা পরিমাপ করে বস্তুটির দূরত্ব নির্ণয় করা হয়। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে গত কয়েক বছরে অনেক পুরাতন শহর আবিষ্কৃত হয়েছে।
গবেষণাটি করেন নর্দার্ন অ্যারিজোনা ইউনিভার্সিটির প্রত্নতত্ত্ববিদ লুক ওল্ড-থমাস ও তাঁর দল। মেক্সিকোর পূর্ব-মধ্য কাম্পেচেতে আগে কখনো মায়া কাঠামো অনুসন্ধান করা হয়নি। লুক ওল্ড-থমাস ও তাঁর দল ১২৯ বর্গ কিলোমিটার এলাকার কার্বন বিশ্লেষণ করে লুকানো এই মায়া শহরের সন্ধান পান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।