জুমবাংলা ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জে ইসলামিক সম্মেলন চলাকালে মঞ্চ ভেঙে পড়ে গেলেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শফী, মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীসহ আরও অনেকে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এ সময় সেখানে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। পরে ভাঙা মঞ্চেই আলোচনা শুরু হয়।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় ঈদগাহে সম্মেলন চলাকালে বিকেল সাড়ে ৪টায় এ ঘটনা ঘটে। আল্লামা শফী মঞ্চে এসে বসেন, তখন অতিরিক্ত মানুষের ভারে ৫টার দিকে আকস্মিকভাবে মঞ্চ ভেঙে পড়ে মাটির সাথে মিশে যায়।
অবিলম্বে কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে কাফের হিসেবে ঘোষণা করতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী। অন্যথায় সরকারের সাথে হেফাজতে ইসলাম থাকবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আল্লামা আহমদ শফী।
কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে (আহমদীয়া মুসলিম জামাত) অবিলম্বে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফ্ফুজে খতমে নবুওয়াত বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে শনিবার অনুষ্ঠিত ইসলামী মহাসম্মেলন প্রধান অতিথির বক্তব্যে হেফাজতের আমির আল্লামা আহমেদ শফী সরকারের প্রতি এ হুঁশিয়ারি দেন।
দুপুর দেড়টায় শহরের মাসদাইর এলাকায় পৌর ঈদগাহ ময়দানে সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে ঈদগাহ আসার সব সড়ক বন্ধ করে দিয়ে এ সমাবেশ শুরু করেছে। আল্লামা আহমদ শফী কাদিয়ানি প্রসংগে আরও বলেন, কাদিয়ানীরা আমাদের নবী মুহাম্মদ (স.)কে মানে না। তারা কাফের,কাফের,কাফের। তাদের মুসলমান বলা যাবে না।
তিনি বিলেন, সরকারকে বলতেছি কাদিয়ানীকে কাফের ঘোষণা করো,করো, করো। সত্যিই যদি তুমি মুসলমান হও তবে কাদিয়ানীকে অতি সত্বর অমুসলমান ও কাফের ঘোষণা করো। তা না হলে মুসলমানদের কি অবস্থা হবে জানি।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে আল্লামা শফী বলেন, বলি অতিসত্বর কাদিয়ানীকে কাফের ঘোষণা করো। তোমাদের পাশে আমরা আছি। আর যদি কাদিয়ানীদের কাফের ঘোষণা না করো, তবে তোমার পাশে থাকব না। এরা এদেশে থাকতে পারবে হিন্দু হইয়া, থাকতে পারবে অমুসলিম হইয়া। তবে মুসলমান হইতা কাদিয়ানীরা বাংলাদেশে থাকতে পারবে না।
মাত্র ৫/৬ মিনিট বক্তব্য দিয়ে আল্লামা শফি দেশবাসী ও মুসলিম জাতির শান্তি কামনা করে দোয়া করেন। সেখানেও তিনি কাদিয়ানীদের কাফের হিসেবে স্বীকৃত কিরার ব্যাপারে মহান আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানান।
এর আগে জেলার ৭টি থানা এলাকা থেকে শত শত বাস ভর্তি করে দলে দলে মানুষ মহাসম্মেলনে এসে যোগ দিতে থাকেন। মিছিলে মিছিলে উত্তপ্ত হয়ে উঠে গোটা শহর। মহাসম্মেলন জনসমুদ্রে পরিনত হয়। শহরের সবগুলো মূল সড়ক বন্ধ করে দিয়ে হেফাজতের লোকজন রাস্তায় বসে পড়লে সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।