
বিনোদন ডেস্ক : গানের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও দারুণ সরব গায়ক আসিফ আকবর। গান, ব্যক্তিজীবন, সামাজিক নানা কার্যক্রম বা সমসাময়িক নানা ঘটনাই তিনি তুলে ধরেন ফেসবুকে। এ নিয়ে মাঝে মধ্যে তোপের মুখেও পড়তে হয় বাংলা গানের যুবরাজ’খ্যাত এই শিল্পীকে। তবুও কখনো দমে জাননি তিনি। লিখে চলেছেন অবিরত।
তারই ধারাবাহিকতায় আজ শনিবার আসিফ ফেসবুকে দীর্ঘ এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন। গায়কের কারণে দল মত নির্বিশেষে বহু মানুষ আসিফকে ভালোবাসে। আর সে কথাই আসিফ লিখেছেন তার স্ট্যাটাসে। তার ভাষ্য, ‘শত সিস্টেম লস এর বিরুদ্ধে স্বঘোষিত যুদ্ধের উত্তাপ নিয়ে এখনো জিন্দা বাংলাদেশের গর্বিত গায়ক আমি আসিফ আকবর। অক্ষয় অমর জাতীয়তাবাদের উত্তাপে এই সরকারের সঙ্গে গোপন আঁতাতকারী হতে পারিনি, সম্ভবও না। গায়ক পরিচয়েই দল মত নির্বিশেষে বহু মানুষ আমাকে ভালোবাসে। একটু গোঁয়ার চরিত্রের লোক হওয়ার কারনে শত্রুপক্ষের ভালবাসাও পাই। তবে আটকে যাই একটা প্রশ্নে, তারা আসলে কি কারণে আমার শত্রু! অপরাজনীতি আর আধিপত্যবাদী অশিক্ষিত রাজনৈতিক আগ্রাসনের মধ্যেও এখনো তারুণ্যের একটা বিশাল অংশ যথেষ্ট সহনশীলতার চর্চায় আছে।’
গায়ক হিসেবে সবার কাছ থেকে আলাদা একটা সম্মান পান উল্লেখ করে তিনি আরও লিখেছেন, ‘রাষ্ট্রের প্রায় সমস্ত উইং বর্তমান ভোটবিহীন সরকারের দলীয়করণের শিকার, এটা এই দেশের রাজনীতির পুরোনো স্টাইল, যে যায় লঙ্কায় সে হয় রাবণ (যদিও কিডন্যাপ হওয়া বন্দী সীতার প্রতি রাবণের কার্টেসিতে আমি মুগ্ধ)। ক্ষমতা তাদের হাতে পায়ে মাথায় চোখে নাকে মুখ সব জায়গায়। তারপরও গায়ক আসিফের প্রতি একটা সৌজন্যতাবোধের কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ আমি। সব সার্কেলেই হায় হ্যালো আছে, আড্ডাও হয় দেখা হলেই। আমার সঙ্গে না মিশলে উনাদের কিছু যায় আসে না, আবার তাদের রানিং ক্ষমতার মুখাপেক্ষীও আমি না। গায়ক হিসেবে অবশ্যই একটা আলাদা সম্মান পাই, এটা স্বীকার করতেই হবে। দেখা হয়ে যায় আমাদের জীবন চলার পথের মোড়ে মোড়ে, প্রবল ইচ্ছে থাকলেও ছবি তুলি না আমরা। আমি জানি এসব ছবির কারণে আমাদের এই পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের সম্পর্কটা গোয়েবলসীয় টাইপ নিন্দার রাজনীতির শিকার হয়ে যাবে এই তামার দেশে। কোনো জ্ঞানীকে মূল্যায়ন করতে হলে আরেকজন জ্ঞানীর প্রয়োজন হয়- গ্রিক প্রবাদ। জ্ঞান চর্চার জন্য দুনিয়ায় সময় খুব কম। কাবাডি স্টাইলে চলছে পিছন থেকে টেনে ধরার আদি প্রয়াস।’
সবশেষে স্বাধীন বাংলাদেশ কেন্দ্রীক রাজনীতি শুরু করা উচিত মনে করে তিনি লিখেছেন, ‘বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে স্বার্থ ভুলে নিবেদিতপ্রাণ হতে হয়, এটাই বন্ধুত্বের শপথ, টেকে না শুধুমাত্র স্বার্থপরতার কারণে। দেশের শীর্ষ রাজনীতিকরা আবোল তাবোল বকছেন দীর্ঘদিন ধরেই। নতুন প্রজন্মকে লাঠিয়াল বানানোর ধান্দা বাদ দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ কেন্দ্রীক রাজনীতি শুরু করা উচিত। মিডিয়ার সামনে রাষ্ট্রের দামী লোকদের অর্বাচীন আলাপ নতুন জেনারেশনের কাছে এখন টিকটকের মতো কমেডি হয়ে গেছে। গোপন কিংবা প্রকাশ্য প্রেমের স্ক্যান্ডাল হাজার বছরের রাজনীতিতে চালু ছিল আছে থাকবে। এসব মুখরোচক আলোচনা চলবেই, এটাও একধরনের রোমান্স ও বিনোদন টাইপের শুভ রাজনৈতিক রাশিচক্র। প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে অপবাদ দেওয়ার রাজনীতিতে কথা বলার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে পারাটাই স্মার্টনেস। জ্ঞানী মানুষদের বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে ব্যক্তিত্বকেও লালন করতে হয়। অন্যথায় পরিণত বয়সের মূর্খতায় সারা জীবনের সব অর্জন শেষ হতে বাধ্য। ভালোবাসা অবিরাম…।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



