জুমবাংলা ডেস্ক: পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় সরিষার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। এখানকার উৎপাদিত সবজি, চাল-ডাল সরিষার সুনাম রয়েছে দেশজুড়ে। গত মৌসুমের শেষের দিকে সরিষার ভালো দাম পাওয়ায় এবছর কৃষকরা ব্যাপক ভাবে সরিষা চাষ করেছেন। বর্তমানে উপজেলার মাঠে মাঠে সরিষার হলুদ ফুল শোভা পাচ্ছে। অন্যান্য ফসলের থেকে সরিষা চাষে লাভ বেশি হওয়ায় সরিষা চাষে কৃষকের আগ্রহ বেড়েছে।
জানা যায়, চলতি বছরে এ উপজেলায় ৩২শ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। গতবছরের চেয়ে এবছর সরিষার আবাদ বেশি হয়েছে। এখানকার উৎপাদিত সবজি, চাল-ডাল সরিষার সুনাম রয়েছে দেশজুড়ে। এখন সরিষার হলুদ ফুলে ভরে গেছে মাঠের পর মাঠ। কৃষকের রঙিন স্বপ্ন দুলছে শিশির ভেজা সরিষার হলুদ ফুলের ডগায়। গত মৌসুমের শেষের দিকে সরিষার বাজারদর ভালো থাকায় কৃষকরা চলতি মৌসুমে সরিষা চাষে অধিক আগ্রহী হয়েছেন। এবছরও সরিষার ভালো দাম পাবেন বলে আশা করছেন কৃষকরা।
উপজেলার সরিষা চাষীরা বলেন, সরিষা চাষে বেশি খরচ হয় না। এটি অত্যন্ত লাভজনক। অন্যান্য ফসলের চেয়ে সরিষার ফলনও বেশি হয়। চলতি মৌসুমে বিঘা প্রতি ৬-৮ মণ করে সরিষা পাওয়া যাবে। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৪ হাজার টাকারও বেশি।
চাষিরা আরো বলেন, সরিষা চাষাবাদের ফলে আমন ও বোরো ধানের মাঝে উপরি ফসল পেয়ে তাদের লাভ হয়। সরিষা বিক্রির আয় থেকে বোরো আবাদের খরচ যোগান দিতে পারি। পাশাপাশি নিজেদের সংসারে তেলের চাহিদাও পূরণ হয়।
উপজেলা কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা বলেন, গত মৌসুমে সয়াবিনের বাজার মূল্য বেশি থাকায়। সরিষার চাহিদা বেড়ে যায়। পাশাপাশি কৃষকরাও ব্যাপকভাবে সরিষার আবাদ করেন। এবছরও সরিষার বাজার মূল্য ভালো। কৃষকরা সরিষা চাষে লাভবান হতে পারবেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার সজীব আল মারুফ বলেন, চলতি মৌসুমে ৩ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও এবছর বেশি আবাদ হচ্ছে। চলতি মৌসুমে উপজেলার ৩ হাজার ৬শ জন কৃষককে কৃষি প্রণোদনার অংশ হিসেবে বিনামূল্যে উন্নত জাতের সরিষার বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। আমরা মাঠ পর্যায়েও কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগীতা করছি। আশা করছি কৃষকরা গত বছরের মতো এবছরও সরিষা চাষে লাভবান হতে পারবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।