জুমবাংলা ডেস্ক: দেশের বৃহত্তম ভোগ্যপণ্যের বাজার চট্টগ্রামের চাকতাই-খাতুনগঞ্জে কমেছে পেঁয়াজের দাম। শনিবার (১০ জুন) প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪২ টাকায়। খুচরা বিক্রি হয়েছে ৪৮ টাকা থেকে ৫০ টাকায়। তবে খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলছেন, হঠাৎ পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত ট্রাক ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় পেঁয়াজের দাম আর কমানো সম্ভব হচ্ছে না।
খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী এইচ জে ট্রেডার্সের মালিক মো. দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আগে পেঁয়াজের কেজি ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। শনিবার ভারতীয় প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪০ টাকা থেকে ৪২ টাকায় বিক্রি করা হয়। ভারতীয় পেঁয়াজের কারণে চট্টগ্রামে দেশীয় পেঁয়াজের চাহিদা কমেছে। পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে আসছে।’
চাকতাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. আবুল কাসেম বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম কমে এসেছে। তবে আরও কমানো সম্ভব হতো। যদি পরিবহন ভাড়া বাড়তি না হতো। আগে রাজশাহীর সোনামসজিদ এলাকা থেকে প্রতি ট্রাক পেঁয়াজ চট্টগ্রামে আসতো ৩৫-৩৬ হাজার টাকায়। বর্তমানে সেখানে ৫০ থেকে ৫২ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। প্রতি ট্রাকে পেঁয়াজ পরিবহন করা যায় ১৩ টন থেকে সাড়ে ১৩ টন। আমের মৌসুম এবং কোরবানি পশু পরিবহন শুরু হওয়ায় ট্রাকের ভাড়া বেড়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সারাদেশে পণ্য পরিবহনে এক নিয়ম। আবার চট্টগ্রামে পণ্য পরিবহনে আরেক নিয়ম চালু রয়েছে। সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবস্থিত ওজন স্কেলের কারণে ১৩ টন কিংবা সাড়ে ১৩ টনের বেশি পণ্য চট্টগ্রামে আনা-নেওয়া যাচ্ছে না। অথচ একটি ট্রাকে করে ২২ টন থেকে ২৫ টন পণ্য পরিবহন করা যেতে পারে। ওজন স্কেলের কারণে চট্টগ্রামে অর্ধেক পণ্য নিয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়। বিষয়টি নিয়ে আমরা বাণিজ্যমন্ত্রী, যোগাযোগ মন্ত্রীসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের একাধিকবার বলেছি। কোনও কাজ হয়নি। এই ওজন স্কেলের কারণে পণ্যের দাম বাড়ছে। সেটি যাতে দ্রুত তুলে দেওয়া হোক।’
এদিকে শনিবার সকালে নগরীর আতুরার ডিপো বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পেঁয়াজ খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা থেকে ৫০ টাকায়। একই দামে নগরীর বহদ্দারহাট, কাজির দেউড়ি বাজারসহ সবখানে বিক্রি করা হচ্ছে।
৮ লাখ টাকা দাম হাঁকাচ্ছে ‘সাহেবজাদা’, আদর-যত্ম করার শর্তে বিশেষ ছাড়
Own the headlines. Follow now- Zoom Bangla Google News, Twitter(X), Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel