জুমবাংলা ডেস্ক : শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ দেশের বিভিন্ন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আরও ১২ জন সহকারী শিক্ষককে অব্যাহতি দিয়েছে। এ নিয়ে মে মাসের শুরুতে মোট ২৪টি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়েছে।
সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোসাম্মদ রহিমা আক্তারের সই করা এক অফিস আদেশে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
মূলত, এসব শিক্ষকরা অন্যত্র চাকরি হয়ে যাওয়ায় অব্যাহতির জন্য আবেদন করেছিলেন। পরে মাউশির অফিস আদেশের মাধ্যমে এই শিক্ষকদের অব্যাহতি মঞ্জুর করা হয়েছে।
আদেশে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ভবিষ্যতে সরকারি কোনো পাওনা সামনে এলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা তা পরিশোধ করতে বাধ্য থাকবেন। একইসঙ্গে, যেহেতু শিক্ষকরা স্বেচ্ছায় এবং চাকরির নির্ধারিত সময়সীমার আগে অব্যাহতি চেয়েছেন, তাই তারা পেনশন বা আনুতোষিকের মতো কোনো আর্থিক সুবিধা এবং অন্য কোনো সুযোগ-সুবিধা পাবেন না।
এর আগে, গত ১৬ এপ্রিল আরও ১২ জন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক চাকরি ছেড়েছিলেন। মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে মোট ২৪ জন শিক্ষকের এই অব্যাহতি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট আরও প্রকট করে তুলেছে। তবে, শিক্ষকদের এই অব্যাহতভাবে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার কারণ সম্পর্কে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরি থেকে অব্যাহতি বা ইস্তফা দেওয়ার প্রক্রিয়া মূলত সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এবং বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস (বিএসআর) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। সাধারণভাবে, একজন সরকারি কর্মচারী চাকরিকালীন যেকোনো সময় স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে অব্যাহতি চাইতে পারেন। সেজন্য সাধারণত নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের কাছে একটি লিখিত আবেদন জমা দিতে হয়। পরে ওই আবেদনপত্র কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করার পরেই কার্যকর হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।