লাইফস্টাইল ডেস্ক: লম্বা ও ছিপছিপে গড়ন কার না পছন্দ? আমরা সবাই জানি, আজকাল লম্বা শারীরিক গঠনের কদর খুব বেশি। বিয়ের বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে বিমানবালার চাকরী পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রেই লম্বা মানুষের চাহিদা খুব বেশি! কিন্তু সকলেই লম্বা ও সুগঠিত শরীর নিয়ে জন্ম নেন না। তখন কেউ কেউ বিভিন্ন ধরনের ওষুধের শরণাপন্ন হন আবার অনেকেই বিষণ্ণতায় পড়ে যান। দুশ্চিন্তায় পড়ে যাবার কিংবা মনঃক্ষুণ্ণ হবার কোন কারণ নেই।
আজকের ফিচারে আপনি জানতে পারবেন কীভাবে কয়েকটি প্রাকৃতিক উপায় অনুসরণ করেই আপনি লম্বা হতে পারবেন। এগুলো কিন্তু রাতারাতি ঘটে যাবে না। আপনাকে ধৈর্য ধরে বেশ অনেক দিন মেনে চলতে হবে এসব নিয়ম। তবেই আপনি সন্তোষজনক একটি ফল পাবেন-
পেলভিক শিফট
এটা অনেকটা সেতুর মতন। চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাঁটু ভাঁজ করুন। এরপর কাঁধ বরাবর দুরত্বে পা দুটো আলাদা করুন। এবার পায়ের উপর চাপ দিয়ে নিতম্ব ও কোমর উত্তোলন করার চেষ্টা করুন। পিঠ সোজা রাখবেন। ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস নিন। এ পোজ কয়েকবার পুনরাবৃত্তি করুন। পেলভিক শিফটের সাহায্যে আপনার পিঠের বেশ ভালো এক্সারসাইজ হবে। পেশিগুলো সুগঠিত হবে।
দড়ি লাফ
দারুণ মজার একটি খেলা এটি কিন্তু উচ্চতা বাড়াতেও বেশ সাহায্যকারী এটি। লাফ দিতে হয় দড়ি লাফ খেলার জন্য। এতে পা থেকে মাথা পর্যন্ত পুরো শরীরের ব্যায়াম হয়। শরীরের প্রতিটি পেশী সক্রিয় হয়ে যায়। শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝেড়ে ফেলার জন্য এটি বেশ কার্যকরী একটি ব্যায়াম।
সাঁতার
পানি আমাদের শরীরের জন্য বেশ অপরিহার্য একটি উপাদান। গবেষকেরা জানান, আমাদের শরীর যথোপযুক্ত ভাবে কাজ করবে তখনই যখন আপনি পরিমিত পরিমাণে পানি পান করবেন। আভ্যন্তরীণ ভাবে তো বটেই, বাহ্যিকভাবেও শরীরের জন্য পানি খুব প্রয়োজনীয়। সাঁতার কাটলে আপনার শরীর ফ্লেক্সিবল তো হবেই, সেই সঙ্গে পেশীগুলো প্রসারিত হবে। এভাবেই ধীরে ধীরে আপনার উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে।
ঝুলন্ত অবস্থায় ব্যায়াম
উচ্চতা বাড়ানোর জন্য এটি বেশ উপকারী একটি ব্যায়াম। এই ব্যায়ামগুলো আপনার হাতের শক্তিও বৃদ্ধি করে। শরীরের উর্ধাঙ্গের পেশী প্রসারিত করতে এটি বেশ কাজের। অনেকভাবে আপনি এ ব্যায়ামটি করতে পারেন। একটি পোলে দু’পা জড়িয়ে হাত নিচেরদিকে দিয়ে এই এক্সারসাইজটি করতে পারেন। এতে করে আপনার পায়ের শক্তিও বাড়বে। আপনি এ ব্যায়াম প্রতিদিন করলে শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট ও দূর হয়ে যাবে। আপনার শরীর ছিপছিপে গড়নের হলে, উচ্চতাও ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাবে।
পা স্পর্শ করা
একদম সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে হাঁটু না ভেঙেই পা স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। এতে করে আপনার পিঠ এবং উরুর পেশীগুলো সম্প্রসারিত হবে এবং রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে। এই ব্যায়ামের মাধ্যমে হাঁটুর পেশিগুলো ম্যাসাজ করাও হয়। একদম সোজা হয়ে পায়ের আঙ্গুল ধরার চেষ্টা করুন কিন্তু খুব বেশি প্রেশার দেওয়ার দরকার নেই। ধীরে ধীরে শরীরের ফ্লেক্সিবিলিটি বৃদ্ধি পাবে।
কোবরা পোজ
এটি মূলত ইয়োগার একটি পর্যায়। অনেকটা সাপের মতন মাথা উঁচু করা হয় বলে এটি ‘কোবরা পোজ’ বলে অভিহিত। পেটের উপর চাপ দিয়ে শুয়ে পড়ুন। অতঃপর হাতের তালুতে ভর দিয়ে ধীরে ধীরে শরীরের ঊর্ধ্বাংশ উঁচু করুন। গতি কিন্তু খুব শিথিল করে নেবেন। এ ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনার পেশীগুলোর কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
সন্তানের জীবন বাঁচাতে সাপের সঙ্গে তুমুল লড়াই মা ইঁদুরের! কে জিতল
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।